আরও ২ জেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি, ৮ থানা-উপজেলায় নাগরিক কমিটি
সাংগঠনিক কাঠামো বিস্তৃতির অংশ হিসেবে দেশের আরও দুই জেলায় আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এর মধ্যে টাঙ্গাইলে ১৬০ ও শরীয়তপুর জেলায় ১৫৬ সদস্যের কমিটি করেছে তারা। এ ছাড়া জাতীয় নাগরিক কমিটি দেশের আরও ৮ থানা ও উপজেলায় প্রতিনিধি কমিটি গঠন করেছে।
গতকাল রোববার (৫ জানুয়ারি) পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে টাঙ্গাইল ও শরীয়তপুরে জেলায় আহ্বায়ক কমিটি গঠনের কথা জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সদস্যসচিব আরিফ সোহেল। অন্যান্য জেলার মতো এই দুই জেলা কমিটিকেও ছয় মাসের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
একই দিন পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে আরও আট থানা-উপজেলায় কমিটি গঠনের কথা জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ও সদস্যসচিব আখতার হোসেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের টাঙ্গাইল জেলার ১৬০ সদস্যের কমিটিতে মাওলানা মোহাম্মদ আলী কলেজের শিক্ষার্থী আলামিনকে আহ্বায়ক, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মনিরুল ইসলামকে সদস্যসচিব, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সৈয়দ ইমতিয়াজ জাবেদকে মুখ্য সংগঠক এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইফফাত রাইসা নূহাকে মুখপাত্র করা হয়েছে। এই কমিটিতে ২২ জনকে যুগ্ম আহ্বায়ক, ২০ জনকে যুগ্ম সদস্যসচিব, ২৩ জনকে সংগঠক ও ৯১ জনকে সদস্য করা হয়েছে।
শরীয়তপুর জেলার ১৫৬ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটিতে সরকারি বাঙলা কলেজের শিক্ষার্থী ইমরান আল নাজিরকে আহ্বায়ক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাজ্জাদ হোসেনকে সদস্যসচিব, শান্ত–মারিয়ম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজির শিক্ষার্থী (এসএমইউসিটি) আমিন মোহাম্মদকে মুখ্য সংগঠক এবং শরীয়তপুর সরকারি কলেজের কান্তা আক্তার ও সানজানা খানকে মুখপাত্র করা হয়েছে। এ ছাড়া ২৬ জনকে যুগ্ম আহ্বায়ক, ৩৩ জনকে যুগ্ম সদস্যসচিব, ৩৬ জনকে সংগঠক ও ৫৬ জনকে সদস্য করা হয়েছে এই কমিটিতে।
অন্যদিকে জাতীয় নাগরিক কমিটি গতকাল জামালপুর সদর উপজেলায় ৯১ সদস্যের, মেলান্দহ উপজেলায় ১৫০ সদস্যের, দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় ১০৩ সদস্যের, কুষ্টিয়া জেলার খোকসা থানায় ১০০ সদস্যের, ঢাকার কোতোয়ালি থানায় ১০১ সদস্যের, বরিশাল জেলার হিজলা উপজেলায় ৬৫ সদস্যের, ঝালকাঠি সদর উপজেলায় ১০৪ সদস্যের ও নলছিটি উপজেলায় ৭১ সদস্যের প্রতিনিধি কমিটি করেছে।