‘ডামি’ ও ‘প্রহসনের’ নির্বাচন বাতিলের দাবি বাম জোটের

বাম গণতান্ত্রিক জোটছবি: সংগৃহীত

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেশের জনগণ বর্জন করেছে বলে দাবি করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। এই নির্বাচনকে ‘একতরফা’, ‘ডামি’ ও ‘প্রহসন’ বলে অভিহিত করে তা বাতিল এবং নির্দলীয় সরকারের অধীন নতুন করে ভোট গ্রহণের দাবিও জানিয়েছে বাম জোট।

আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে বাম জোটের নেতারা এসব দাবি জানান। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাম জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির।

সমাবেশে বক্তব্য দেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাসদের (মার্ক্সবাদী) কেন্দ্রীয় নির্বাহী ফোরামের সদস্য জয়দ্বীপ ভট্টাচার্য, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আবদুল আলী। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য শামীম ইমাম।

বাম জোটের নেতারা সমাবেশে বলেন, ভোটের দিন দেশের বেশির ভাগ কেন্দ্র ছিল ফাঁকা। কেন্দ্রের সামনে ও ভেতরে আওয়ামী লীগের কর্মীরা ছাড়া ভোটার উপস্থিতি ছিল খুবই নগণ্য। অথচ নির্বাচন কমিশন বলেছে, দুপুর ১২টা ১০ মিনিট পর্যন্ত সারা দেশে ভোট পড়েছে মাত্র সাড়ে ১৮ শতাংশ এবং বেলা ৩টা পর্যন্ত ভোট পড়ে ২৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ। ভোট শেষ হয় বিকেল চারটায়। সাত ঘণ্টায় যেখানে ভোট পড়ে মাত্র ২৭ শতাংশের কাছাকাছি, অথচ ১ ঘণ্টা পর ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে ঘোষণা করা হয়েছে। ভোটের এই হারের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বাম জোটের নেতারা।

সরকারি দলের প্রার্থীদের জেতাতে যা যা করা দরকার, সবই করা হয়েছে বলেও অভিযোগ আনেন এই জোটের নেতারা। এই নির্বাচনে শিশুদের দিয়ে ভোট দেওয়ানো, আগে সিল দেওয়া ব্যালট দিয়ে বাক্স ভর্তি করা, সরকারের মন্ত্রীর প্রকাশ্যে ব্যালট পেপারে সিল মারা, জাল ভোট প্রদান, ‘ডামি বিরোধী’ প্রার্থীদের পোলিং এজেন্ট না থাকা, ভোটকেন্দ্র দখলে সরকারি সংস্থার ব্যবহার, ভোট না দিলে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির আওতাভুক্ত ভাতা বন্ধের হুমকি, সন্ত্রাসীদের দিয়ে হুমকি প্রভৃতি ঘটনা ঘটেছে।