দেশের স্বাধীনতা আজ কোথায়, প্রশ্ন বিএনপির নেতা রিজভীর

আজ শুক্রবার বিকেলে ঢাকায় শ্রমিক দলের বিক্ষোভ মিছিলছবি: সংগৃহীত

দেশের স্বাধীনতা আজ কোথায়, এ প্রশ্ন তুলে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আজকে ভারতের অনুমতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চীন যেতে হয়। যে স্বাধীনতার পতাকা এ দেশের মুক্তিযোদ্ধারা নিজেদের রক্ত দিয়ে অর্জন করেছিলেন, সেটা আজ কোথায়?

আজ শুক্রবার বিকেলে ঢাকায় শ্রমিক দলের এক বিক্ষোভ মিছিল শেষে দেওয়া বক্তব্যে রিজভী এ প্রশ্ন তোলেন।

রিজভী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের মন্ত্রীরা বলছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীন যাচ্ছেন, তাতে ভারতের কোনো আপত্তি নেই।’ এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর চীন যেতে ভারতের সার্টিফিকেট নিতে হয়। তাহলে কোথায় আজ স্বাধীনতা। ৩০ লাখ শহীদ ও ২ লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে যে স্বাধীনতা আমরা অর্জন করেছিলাম, সেটা আজ কোথায়?’

‘ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী চীন সফরে যাচ্ছেন’ বলে মন্তব্য করেন রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, এই সফরে তিনি চীনের কাছে ২০ বিলিয়ন ডলার চাইবেন। অন্যদিকে দিল্লির অনাপত্তিপত্র নিয়ে তিনি চীন যাচ্ছেন—এটা জাতির জন্য লজ্জাজনক। এই কাজ খালেদা জিয়া করেননি।

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির জন্য সরকারের সমালোচনা করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, শ্রমিকদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। আজ কাঁচা মরিচের কেজি ৩২০ টাকা, শাকসবজির দাম ১০০ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। টমেটোর দাম ডাবল সেঞ্চুরি পার হয়ে গেছে। শ্রমিকেরা এই নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি কিনতে পারবে না। এই যে অনাচার, জনগণের পেটে লাথি মেরে শেখ হাসিনা সরকারি কর্মকর্তাদের কোটি কোটি টাকা লুটপাটের সুযোগ করে দিয়েছেন, বেনজীর-আজিজদের হাজার কোটি টাকা লুটপাটের সুযোগ করে দিয়েছেন, এর জবাব দিতে হবে।

শ্রমিক দলের সমন্বয়ক ও বিএনপির চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস শ্রমিক দলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক সুমন ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানান। তিনি বলেন, ‘সুমনদের গ্রেপ্তার করে, ষড়যন্ত্রের ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে শেখ হাসিনা ক্ষমতা আঁকড়ে থাকতে পারবেন না। জনগণ আপনাদের ক্ষমতা থেকে টেনে নামাবে।’

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, শ্রমিক দলের নেতা সুমন ভূঁইয়াসহ নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে সংগঠনের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা এই বিক্ষোভ মিছিল করে। রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে মিছিলটি নয়াপল্টন থেকে শুরু হয়ে কাকরাইল, ফকিরাপুল মোড় হয়ে আবার নয়াপল্টনে এসে শেষ হয়। মিছিলে আরও অংশ নেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, বিএনপির সহশ্রমবিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান, প্রচার সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল খালেক, ওলামা দলের আহ্বায়ক সেলিম রেজা, সদস্যসচিব আবুল হোসেন, মৎস্যজীবী দলের সদস্যসচিব আবদুর রহিম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি জাহিদুল কবির প্রমুখ।