রাষ্ট্রপতির অপসারণ প্রশ্নে ১২–দলীয় জোটের সঙ্গে ছাত্রনেতাদের বৈঠক
১২–দলীয় জোটের সঙ্গে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা বৈঠক করেছেন। আজ রোববার বিকেলে মালিবাগে ১২–দলীয় জোটের একটি দলের কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে অপসারণসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
১২–দলীয় জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, এ মুহূর্তে রাষ্ট্রপতি পদে শূন্যতা হলে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হবে এবং বিলম্বিত হবে নির্বাচন। বৈঠকে তাঁরা তাঁদের এ অবস্থান জানিয়েছেন।
অন্যতম প্রধান দল বিএনপিও একই বক্তব্য দিয়ে আসছে। বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে ছিল ১২–দলীয় জোট। রাষ্ট্রপতিকে অপসারণের প্রশ্নে এই জোটও ওই একই অবস্থান নিয়েছে।
জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া নেতাদের নিয়ে গঠিত জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করছেন। সন্ধ্যায় নূরুল হকের নেতৃত্বাধীন গণ অধিকার পরিষদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।
এর আগে গত শনিবার বিএনপি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সঙ্গে বৈঠক হয়। জামায়াতের সঙ্গে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা বৈঠক করেন গত শুক্রবার।
এসব বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয় হচ্ছে রাষ্ট্রপতির অপসারণ বিষয়ে নৈতিকভাবে একমত হওয়া। এ ছাড়া সংবিধান বাতিল ও প্রক্লেমেশন অব সেকেন্ড রিপাবলিক ঘোষণার বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
বৈঠকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন হাসনাত আবদুল্লাহ, সারজিস আলম, আরিফ সোহেল, উমামা ফাতেমা ও আবদুল হান্নান মাসউদ। আর জাতীয় নাগরিক কমিটির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন নাসীরউদ্দীন পাটওয়ারী, সামান্তা শারমিন, আরিফুল ইসলাম আদীব।
১২–দলীয় জোটের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন জোটের প্রধান মোস্তফা জামাল হায়দার, শাহাদাত হোসেন সেলিম, অধ্যাপক নুরুল আমিন ব্যাপারী, সৈয়দ এহ্সানুল হুদা, মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, মো. ফারুক রহমান, শামসুদ্দিন পারভেজ ও এ এস এম শামীম।
শেখ হাসিনার পদত্যাগের দালিলিক প্রমাণ নেই—রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের এমন বক্তব্যের পর তাঁকে অপসারণে আন্দোলনে নামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন সংগঠন। সরকারও নানা তৎপরতা চালায়। কিন্তু রাষ্ট্রপতির অপসারণে সাংবিধানিক সংকট হতে পারে, এমন আশঙ্কা করা হয়। বিষয়টি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাদের অবস্থান ব্যক্ত করে বিএনপি। এরপরই জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা রাজনৈতিক দলগুলোকে আস্থায় নিতে ধারাবাহিক বৈঠক শুরু করেন।