আশা করতে পারেন নির্বাচন ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব

রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সংবাদ ব্রিফিংয়ে কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমফাইল ছবি

আগামী জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে বলে মানুষ আশা করতে পারে– একথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

আগের দিন বিজয় দিবসে জাতির উদ্দেশে ভাষণে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছিলেন, ২০২৫ সালের শেষ দিক থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করা যায়।

এরপর বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে নির্বাচন অনুষ্ঠানের রোডম্যাপ চাওয়া হয়েছে। এ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘আমার তো মনে হয়, রোডম্যাপ খুব স্পষ্ট দেওয়া হয়েছে। যদি কম সংস্কার হয়, সে ক্ষেত্রে ডিসেম্বরের (২০২৫ সালের) মধ্যে হতে পারে। উনি একটা আলোকপাত করেছেন। আর চূড়ান্ত তারিখ কী, এটা অনেক ক্ষেত্রে নির্ভর করবে সংস্কারের ওপর। তিনি একটা সময় দিয়ে দিয়েছেন। এর চেয়ে আর পরিষ্কার রোডম্যাপ কী হতে পারে? আপনি আশা করতে পারেন যে নির্বাচন হচ্ছে ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে।’

এ বিষয়ে ব্রিফিংয়ে উপস্থিত প্রধান উপদেষ্টার উপ–প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট দিন, কবে মনোনয়নপত্র দাখিল হবে—এগুলো নির্বাচন কমিশনের কাজ। সরকারের কাজ হচ্ছে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করা এবং নির্বাচনটা যাতে সুষ্ঠু হয়, এ জন্য প্রয়োজনীয় কিছু সংস্কারের জাতীয় দাবি আছে। রাজনৈতিক দল ও মানুষের পক্ষ থেকেও দাবি আছে।

ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ।

জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে গণহত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের বিচার হবে উল্লেখ করে প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘যাদের হাতে রক্ত আছে, তাদের বিচার হবেই। এখানে কোনো মাফ নেই। যারা গুমে জড়িত, তারা রাজনৈতিক দলের নেতা হোক, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য হোক, যে-ই হোক, তাদের বিচার হবে। এইটুকু নিশ্চিত থাকতে পারেন।’

ইউজিসির নাম পরিবর্তন হচ্ছে

প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের ‘মঞ্জুরি’ শব্দটা বাদ দিয়ে ‘ইউনিভার্সিটি কমিশন’ হবে। এটি নিয়ে অনেক বড় কাজ হবে।

শিক্ষায় বরাদ্দ বাড়ানো, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়টি যুগোপযোগী করা, শিক্ষার মানোন্নয়নে শিক্ষকদের মানোন্নয়ন করা, শিক্ষাকে দুর্নীতিমুক্ত করাসহ শিক্ষা নিয়ে সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন প্রেস সচিব।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে আজ রাতে মিসরে যাবেন বলে জানান উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার। তিনি জানান, রাত ১টায় প্রধান উপদেষ্টার কায়রোর উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করার কথা রয়েছে।

ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ।