আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় বামজোটের উদ্বেগ

বাম গণতান্ত্রিক জোটছবি: সংগৃহীত

দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যথাযথ উন্নতি না হওয়ায় উদ্বেগ জানিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) কার্যালয়ে বামজোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সভায় এই উদ্বেগ জানানো হয়।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি, দখলদারির হাতবদল, নিত্যপণ্যের দাম না কমা, সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া, ‘মব জাস্টিসের’ (বিশৃঙ্খল জনতার বিচার) নামে ভীতি ছড়ানো এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দলীয় নিয়োগের খবরেও উদ্বেগ প্রকাশ করে বামজোট।

সভায় এক প্রস্তাবে সীমান্তে ক্রমাগত হত্যাকাণ্ডে উদ্বেগ প্রকাশ করে তা বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে বামজোট।

বামজোটের সভায় সাম্প্রতিক শ্রমিক অসন্তোষ নিয়েও আলোচনা হয়। সাভার, আশুলিয়া ও গাজীপুরে কয়েক দিন আগে শ্রমিকদের উত্থাপিত ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়ার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। একই সঙ্গে শ্রমিক অসন্তোষের সুযোগ নিয়ে কেউ যেন আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটাতে না পারে সে বিষয়ে সরকারকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধ, সংবিধান, জাতীয় সংগীত, মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে আমান আযমীর দেওয়া বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদও জানিয়েছে বামজোট। জোটটির নেতারা মনে করেন, আযমী তাঁর বক্তব্যের মধ্য দিয়ে দেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতাকামী মানুষের আত্মত্যাগকে অস্বীকার করেছেন, যা চরম ঔদ্ধত্য ও ধৃষ্টতার শামিল।

বামজোটের সভার প্রস্তাবে বলা হয়, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে অস্বীকার করে চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের চেতনা ধারণ করা যাবে না।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে সংস্কারের রূপরেখা ঘোষণা ও নির্বাচন ব্যবস্থার আমূল সংস্কারের লক্ষ্যে আলোচনা শুরুর আহ্বান জানিয়েছে বামজোট। তারা ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের বিচারের জন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনের দাবি জানিয়েছে। এ সময় ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের গণহত্যার নিন্দা জানিয়ে এর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

বামজোটের সমন্বয়ক ও বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন সিপিবির সভাপতি শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন, বাসদের সহকারী সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাসদ (মার্ক্সবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির যুগ্ম সম্পাদক রুবেল সিকদার, কমিউনিস্ট লীগের সম্পাদক আব্দুস সাত্তার, বাসদ (মার্ক্সবাদী) নেতা সীমা দত্ত প্রমুখ।