দেশে মানুষের কোনো অধিকার নেই: চরমোনাই পীর
দেশে আজ মানুষের কোনো অধিকার নেই, নেই কথা বলার স্বাধীনতা—এই মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলনের আমির ও চরমোনাই পীর সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম। তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। জীবন বাজি রেখে যাঁরা দেশকে স্বাধীন করেছেন, সেই মুক্তিযোদ্ধাদের চোখে এখন পানি। এখন এই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে গণ-আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।’
আজ শুক্রবার রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের সম্মেলনে সৈয়দ রেজাউল করিম এ কথা বলেন।
ইসলামী আন্দোলনের আমির বলেন, ‘এই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে গণ-আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। ভোট চোর, ভোট ডাকাতদের বিরুদ্ধে জনগণ মাঠে নেমে এলে এরা পালাতে বাধ্য হবে।’
সম্মেলনে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব। মুক্তিযুদ্ধ চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, যারা স্বাধীনতা চায়নি, তারা আজ স্বাধীনতার কথা বলে। মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণায় যা ছিল, তা আজ নেই।
ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব ইউনুছ আহমাদ বলেন, বাংলাদেশ এখনো পুরোপুরি মুক্ত হয়নি। বাংলাদেশকে মুক্ত করতে মুক্তিযোদ্ধারা কাজ করবেন।
ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের আহ্বায়ক আবদুল ওয়াদুদের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মুহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ ও আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান, সহকারী মহাসচিব মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, কেন্দ্রীয় নেতা আহমদ আবদুল কাইয়ুম, মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম পরিষদের সভাপতি শহিদুল ইসলাম কবির প্রমুখ।
সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেমকে সভাপতি ও খালেকুজ্জামানকে সাধারণ সম্পাদক করে নতুন কমিটির ঘোষণা দেন সৈয়দ রেজাউল করিম।
সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের পক্ষ থেকে ‘স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র’ অনুযায়ী সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিতে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণসহ ১১ দফা দাবি জানানো হয়।