নির্যাতনের শিকার শ্রমজীবী মানুষ, বঞ্চিত মেহনতি শ্রমিক–জনতাই এই সরকারের পতন ঘটাবে বলে মনে করেন আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) নেতারা। মহান মে দিবস উপলক্ষে আজ বুধবার ঢাকার বিজয় নগরে এবি পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এমন মন্তব্য করেন।
আলোচনা সভায় বক্তারা সারা বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষের প্রতি সম্মান জানিয়ে বলেন, ১৮৮৬ সালের ১ মে শ্রমিকেরা তাঁদের অধিকার আদায়ের আন্দোলন করতে গিয়ে জীবন দিয়েছিলেন। সেই থেকে ১ মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও বাস্তবতা হচ্ছে আজও শ্রমিকেরা তাদের আধিকার ফিরে পায়নি।
এবি পার্টির আহ্বায়ক এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের প্রধান সমন্বয়ক শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস বলেন, দেশের অর্থনীতি গড়ে তুলেছে দেশের সাড়ে সাত কোটি শ্রমজীবী মানুষ। আওয়ামী লুটেরা শ্রেণির এই অর্থনীতিতে কোনো ভূমিকা নেই। তিনি বলেন, কোনো আন্দোলনে যখন ছাত্র, যুবক আর শ্রমিকেরা অংশ নেয় সেই আন্দোলন ব্যর্থ হয় না। তাই এই দখলদার সরকারের পতনের আন্দোলনে এ দেশের ছাত্র, যুব ও শ্রমিকেরা নেমে আসবেন এবং এই ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন ঘটাবেন।
এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক মেজর (অব.) আবদুল ওহাব মিনার বলেন, বাংলাদেশে অধিকাংশ শ্রমিকদের এখনো শ্রমিক হিসেবেই পরিচয় দেওয়া হয় না। দেশের কৃষিশ্রমিক, মৎস্যশ্রমিক, গৃহকর্মী এখনো শ্রমিক পরিচয়ের কোনো সুবিধা পান না। এ দেশের সেই সব শ্রমজীবী মানুষের প্রতি নজর দিতে হবে।
এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক তাজুল ইসলাম বলেন, প্রতিবছর মে দিবস এলেই একটি গতানুগতিক আলোচনা, মিছিল ইত্যাদি আমরা দেখতে পাই। কিন্তু বাস্তবে শ্রমিকদের কোনো উন্নয়ন দেখা যায় না।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন, এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, যুগ্ম সদস্যসচিব আসাদুজ্জামান ফুয়াদ ও সহকারী সদস্যসচিব বেবি পাঠান প্রমুখ।