গণমাধ্যমকর্মীরা নিজেরাই নিজেদের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে বাধ্য হচ্ছেন: জি এম কাদের

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে আজ শুভেচ্ছা জানান জাতীয় সাংবাদিক ঐক্যের (এনইউজে) নেতারা
ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের বলেছেন, টেলিভিশন, পত্রিকা ও অনলাইন মিডিয়ার কর্মীরা আতঙ্কের মধ্যে দায়িত্ব পালন করেন। প্রাণ খুলে কথা বলতে পারেন না কেউ। খবর প্রকাশে নিজেরাই নিজেদের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ বা সেলফ সেন্সরশিপ করতে বাধ্য হচ্ছেন।

আজ রোববার দুপুরে জাতীয় সাংবাদিক ঐক্য (এনইউজে) নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের এ কথা বলেন।

জি এম কাদের বলেন, গণমাধ্যম দুর্বল হলেই সমাজে জবাবদিহির ঘাটতি হয়, ফলশ্রুতিতে দুর্নীতি বেড়ে যায়। দেশের গণমাধ্যমকে দুর্বল করে পরোক্ষভাবে দেশকে অনিয়ম ও দুর্নীতির স্বর্গরাজ্য বানাতে সহায়তা করা হচ্ছে। যে দেশের গণমাধ্যম যতটা স্বাধীন, সে দেশের গণতন্ত্র ততটাই শক্তিশালী। একটি দেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা দেখে সহজেই বোঝা যায়, সে দেশের গণতন্ত্রের হালহকিকত। দেশের গণমাধ্যম স্বাধীনতা ভোগ করতে পারছে না।

আজকের মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন এনইউজের আহ্বায়ক খন্দকার দেলোয়ার জালালী।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজের (সিজিএস) তথ্য উল্লেখ করে বলেন, গেল দুই বছরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ১০৮টি মামলায় ২০৮ জন সাংবাদিককে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এতে প্রমাণ হয়, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন তৈরি হয়েছে গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করতে। এই কালো আইন অবিলম্বে সংশোধন করা জরুরি।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদনের তারিখ পিছিয়েছে ৯১ বার। ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীতে খুন হন সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি। ১০ বছর অতিবাহিত হলেও এখনো সাগর-রুনি হত্যার প্রকৃত রহস্য উদ্‌ঘাটন করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আমরা চাই, সাগর-রুনিসহ সব সাংবাদিক নির্যাতনের বিচার হোক।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন এনইউজের সদস্যসচিব মিজান আহমেদ, এনইউজে রংপুর জেলা কমিটির সভাপতি রেজাউল ইসলাম, এনইউজের যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুল হাসান, কেন্দ্রীয় সদস্য এ কে সালমান, সুমন ইসলাম, আসাদুজ্জামান আফজাল, রিপন মাহমুদ।