সংবাদ নিয়ে এনসিপির ব্যাখ্যা ও প্রতিবেদকের বক্তব্য

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

‘নিজ দলের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার স্বাধীনতা চায় না প্রধান দলগুলো’ শিরোনামে ২ এপ্রিল প্রথম আলোর অনলাইন ও ই–পেপারে প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে এনসিপি। দলটি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, প্রতিবেদনটির উপশিরোনামে ‘সংসদে নিজ দলের বিপক্ষে ভোট দেওয়ার পূর্ণ ক্ষমতা দেওয়ার সুপারিশ সংস্কার কমিশনের। একমত নয় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপি’। ওই প্রতিবেদনে এনসিপির অবস্থান ভুলভাবে উপস্থাপিত হয়েছে।

এনসিপি বলেছে, প্রতিবেদনে উল্লেখিত ‘সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী সংসদ সদস্যদের নিজ দলের বিপক্ষে ভোট দেওয়ার পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে’, এই দাবি সত্য নয়। কারণ, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী সংসদ সদস্যদের নিজ দলের বিপক্ষে ভোট দেওয়ার পূর্ণ স্বাধীনতা নয়; বরং অর্থবিল ব্যতিরেকে বাকি সব বিষয়ে ভোট দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। অন্যদিকে, এনসিপি তার আনুষ্ঠানিক প্রস্তাবে সংসদ সদস্যদের অর্থবিল এবং অনাস্থা ভোট ব্যতীত যেকোনো বিষয়ে নিজ দলের বিপক্ষে ভোট দেওয়ার অধিকার প্রদানের পক্ষে মত দিয়েছে। অর্থাৎ, এনসিপি সংস্কার কমিশনের সুপারিশের সঙ্গে আংশিকভাবে একমত হয়েছে এবং অনাস্থা ভোটের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ ব্যতিরেকে অন্য সব ক্ষেত্রে সংসদ সদস্যদের স্বাধীন মতামতকে গুরুত্ব দিয়েছে। এনসিপি মনে করে, এটি একটি ভারসাম্যপূর্ণ সংস্কার প্রস্তাব, যা একই সঙ্গে সংসদ সদস্যদের স্বাধীনতা ও সরকারের স্থিতিশীলতার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখবে।

প্রতিবেদকের বক্তব্য

প্রতিবেদনের শিরোনামের নিচে সারাংশে ‘অর্থবিল ছাড়া’ শব্দটি বাদ পড়েছে। তবে প্রতিবেদনের সূচনায় বলা আছে, ‘অর্থবিল ছাড়া অন্য যেকোনো বিষয়ে সংসদের নিম্নকক্ষের সদস্যদের নিজ দলের বিপক্ষে ভোট দেওয়ার পূর্ণ ক্ষমতা থাকবে—সংবিধান সংস্কার কমিশনের এই সুপারিশের সঙ্গে পুরোপুরি একমত নয় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপি। এ তিনটি দলই চায় অর্থবিলের মতো আস্থা ভোটের ক্ষেত্রেও সংসদ সদস্যরা (এমপি) স্বাধীন থাকবেন না।’

এ ছাড়া প্রতিবেদনের যে অংশে আলাদাভাবে এনসিপির অবস্থান তুলে ধরা হয়েছে, সেখানে বলা হয়েছে, ‘জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারীদের দল এনসিপিও অর্থবিলের পাশাপাশি দলের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ থাকা প্রয়োজন বলে মত দিয়েছে।’