‘ভুঁইফোড়’ সেই দুই দল নিবন্ধন সনদ পেল
নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন সনদ পেয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি)। আজ বৃহস্পতিবার দল দুটিকে নিবন্ধনের চূড়ান্ত সনদ দিয়েছে ইসি।
নির্বাচন সামনে রেখে ক্ষমতাসীনদের কৌশলের অংশ হিসেবে দল দুটিকে নিবন্ধন দেওয়া হচ্ছে—এমন আলোচনা রাজনৈতিক অঙ্গনে রয়েছে। নিবন্ধন না পাওয়া ১০টি দল সম্প্রতি একসঙ্গে সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করেছিল, সরকারের নির্দেশনায় এবং বিভিন্ন এজেন্সির পরামর্শে ‘ভুঁইফোড়’ দুটি দল ছাড়া কাউকে নিবন্ধন দেয়নি ইসি।
আইন অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশনে (ইসি) নিবন্ধিত না হলে কোনো দল দলীয় প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিতে পারে না। এবার নিবন্ধনের জন্য ৯৩টি দল আবেদন করেছিল। প্রাথমিক বাছাই শেষে আলোচিত দল গণ অধিকার পরিষদ, এবি পার্টিসহ ১২টি দলের মাঠপর্যায়ের তথ্য যাচাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নির্বাচন কমিশন।
১২টি দলের মধ্যে শেষ পর্যন্ত দুটি দলকে নিবন্ধন দেওয়ার বিষয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন। তাদের এই সিদ্ধান্তে রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
বিএনএম ও বিএসপি নামের দল দুটির তেমন কোনো কার্যক্রম চোখে পড়ে না। দল দুটিকে অনেকে দেখছেন ‘কিংস পার্টি’ হিসেবে। ইসি দল দুটিকে নিবন্ধনের জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করার পর দল দুটি আলোচনায় আসে।
বিএনএমের মূল নেতৃত্বে রয়েছেন বিএনপির সাবেক দুই নেতা। বিএনএমের আহ্বায়ক অধ্যাপক আবদুর রহমান বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য। দলের সদস্যসচিব মেজর (অব.) মো. হানিফ বিএনপির নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য। ২০২১ সালে গঠিত হয় দলটি। তখন এই দল গঠনের পেছনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে সরকারের কোনো ‘ষড়যন্ত্র’ থাকতে পারে—এমন অভিযোগ করেছিলেন বিএনপির নীতিনির্ধারকেরা।
বিএনপি নেতাদের কাউকে কাউকে এই দল থেকে আগামী নির্বাচনে প্রার্থী করা হতে পারে, এমন আলোচনাও রাজনৈতিক অঙ্গনে আছে।
অন্যদিকে বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আওয়ামী লীগ–ঘেঁষা একটি রাজনৈতিক জোটেরও চেয়ারম্যান।