এনআইডি সংশোধনে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ, নির্বাচন ভবন এলাকায় দুদকের অভিযান
জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধনকে কেন্দ্র করে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে নির্বাচন ভবন এলাকায় অভিযান চালায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি দল। আজ বৃহস্পতিবার এ অভিযানে দুজনকে আটক করা হয়েছে।
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর সাংবাদিকদের বলেন, এনআইডি সংশোধনে ঘুষ লেনদেন বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুদক কৌশলে একটি দল পাঠায়। তারা ইসি সচিবালয়ের চারদিকে ‘রেকি’ করে। এ সময় দুজনকে আটক করা হয়। তাঁরা ইসি সচিবালয়ের কেউ নন। তিনি বলেন, ইসির প্রকল্পের বা ভেতরের কারও অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকার সুযোগ রয়েছে। সেটা তাঁরা খুঁজে বের করছেন।
আজ বেলা ১১টার দিকে ইসির অনুমতি নিয়ে দুদকের চার সদস্যের একটি দল অভিযান চালায়। দুজনকে আটক করার কথা জানিয়ে দুদকের সহকারী পরিচালক আসিফ আল মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, তাঁরা সেবাগ্রহীতা সেজে ভবনের চারপাশে পর্যবেক্ষণ করেছেন। নির্বাচন ভবনের পাশের কম্পিউটারের দোকানগুলোতে এনআইডি সংশোধনের কথা বললে তাঁরা টাকা দাবি করেন। এ ছাড়া কিছু লেনদেনেরও অভিযোগ আছে।
আসিফ আল মাহমুদ বলেন, ঘুষ লেনদেনের একটা নেটওয়ার্ক তৈরি হয়েছে। কম্পিউটারের দোকান, আনসার, দালাল, পুলিশ সদস্য, ইসির কর্মকর্তারাও এতে জড়িত। প্রাথমিকভাবে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের চিহ্নিত করা হয়েছে। ভেতরে কারা আছে, তা বের করা হবে। এ ছাড়া ইসিতে কর্মরত কিছু ব্যক্তির বিষয়ে অভিযোগ আছে, তাঁদের ব্যাংক হিসাব যাচাই–বাছাই করে প্রতিবেদন দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
এদিকে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক হুমায়ুন কবীর বলেন, সংশোধনের জন্য ঝুলে থাকা আবেদনগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করার জন্য ‘ক্র্যাশ প্রোগ্রামের’ পরিকল্পনা করেছেন তাঁরা। আগামী তিন মাসের মধ্যে তাঁরা ঝুলে থাকা পৌনে চার লাখের বেশি আবেদন নিষ্পত্তি করতে চান; যাতে এনআইডি সংশোধনকে ঘিরে দুর্নীতি কমে আসে।
হুমায়ুন কবীর বলেন, দুসপ্তাহ হয়েছে তিনি মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি যতটুকু জেনেছেন, একটা বড় সমস্যা হচ্ছে, সংশোধনের আবেদনগুলো নিষ্পত্তি করতে না পারা। তাঁরা একটি ক্র্যাশ প্রোগ্রামের পরিকল্পনা করছেন। আগামী তিন মাসের মধ্যে এটা উল্লেখযোগ্য উন্নতি দেখা যাবে। এ সময়ের মধ্যে ৩ লাখ ৭৮ হাজার আবেদনের নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করা হবে।