ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ্যে এল

জামায়াতে ইসলামীর ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মো. আবু সাদিক কায়েম ও সেক্রেটারি এস এম ফরহাদ দুই সপ্তাহ আগে নিজেদের রাজনৈতিক পরিচয় জানিয়েছেন। আজ বুধবার প্রকাশ্যে এল শিবিরের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ১৪ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি।

আজ বেলা তিনটার কিছু আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের ফেসবুক পেজে এই কমিটির নাম প্রকাশ করা হয়। এরপর সভাপতি আবু সাদিক কায়েম ও সেক্রেটারি এস এম ফরহাদ নিজেদের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে সেই পোস্টটি শেয়ার করেন।

কমিটির সভাপতি মো. আবু সাদিক কায়েম ও সাধারণ সম্পাদক এস এম ফরহাদ আগেই প্রকাশ্যে এসেছেন। সাদিক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের আর ফরহাদ সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র।

আজ প্রকাশিত পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে নাম থাকা অন্য সদস্যরা হলেন সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন খান। তিনি লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক পদে আছেন হোসাইন আহমাদ জুবায়ের; ছাত্র আন্দোলন ও মানবসম্পদ উন্নয়নবিষয়ক সম্পাদক পদে মো. মাজহারুল ইসলাম; অফিস সম্পাদক পদে ইমরান হোসাইন; বায়তুল মাল সম্পাদক পদে আলাউদ্দিন আবিদ; দাওয়াহ ও ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক পদে হামিদুর রশিদ জামিল; সাহিত্য, সংস্কৃতি ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে নুরুল ইসলাম নূর; বিজ্ঞান ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে মো. ইকবাল হায়দার; শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক পদে মো. আনিছ মাহমুদ ছাকিব; আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক পদে রিয়াজুল মিয়া; ব্যবসায় শিক্ষা ও আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক পদে হাসান মোহাম্মদ ইয়াসির এবং স্কিল ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক পদে আছেন আবদুল্লাহ আল আমিন।

আরও পড়ুন

কমিটির সেক্রেটারি এস এম ফরহাদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের এই কমিটি গঠিত হয় গত জানুয়ারি মাসে। আগে এটা ঘোষণা দেওয়া হয়নি, এখন দেওয়া হলো। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় কমিটিই হলের সাংগঠনিক কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করে। হলে রাজনীতির সুযোগ তৈরি হলে এবং সে রকম জনবল পেলে হল কমিটি গঠনের বিষয়টি দেখা যাবে।’

কমিটির আকারের বিষয়ে এস এম ফরহাদ বলেন, ‘আমাদের গঠনতন্ত্রে কমিটির আকার হিসেবে নির্দিষ্ট কোনো সংখ্যার কথা বলা হয়নি। প্রয়োজনীয় বিভাগগুলো (অর্থ ও প্রকাশনা ইত্যাদি) পরিচালনার জন্য যে আকারের কমিটি করা প্রয়োজন, সেটাই করা হয়। সক্ষমতা ও বাস্তবতা অনুযায়ী সংগঠনের একেক শাখায় বিভাগের সংখ্যা একেক রকম।’