‘জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অভ্যুত্থানকে পূর্বপরিকল্পিত হিসেবে দেখানোর চেষ্টা হচ্ছে’

ডাকসুতে মঙ্গলবারের গপ্পোসপ্পোর আলোচনা অনুষ্ঠান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ৬ নভেম্বরছবি: সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর বিভিন্ন পক্ষের বিভিন্ন ইন্টারেস্ট (স্বার্থ) তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক জাহেদ উর রহমান। জাতীয় ঐক্য সংহত করা দরকার বলে মনে করেন তিনি।

বুধবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সম্মেলনকক্ষে এক আলোচনায় অংশ নিয়ে জাহেদ উর রহমান এসব কথা বলেন। ‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানপরবর্তী জাতীয় ঐক্যের হাল-হকিকত’ শীর্ষক এই আলোচনার আয়োজন করে সাপ্তাহিক পাঠচক্রের প্ল্যাটফর্ম ‘মঙ্গলবারের গপ্পোসপ্পো’।

আলোচনায় জাহেদ উর রহমান বলেন, আন্দোলনের ‘মাস্টারমাইন্ড’ বলে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অভ্যুত্থানকে প্রিপ্ল্যানড (পূর্বপরিকল্পিত) হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এটি নিয়ে বিশেষ করে ভারত জনগণের অভ্যুত্থানকে প্রিপ্ল্যানড বলে প্রচার ও তাকে ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করছে। সামনে এ ধরনের প্রচেষ্টা আরও বাড়বে। তার জন্য জাতীয় ঐক্যকে সংহত করা দরকার।

অভ্যুত্থানের পর থেকেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কতিপয় সমন্বয়ক অভ্যুত্থানের রাজনৈতিক শক্তিকে ‘অপরায়নের’ মাধ্যমে জাতীয় ঐক্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছেন বলে অভিযোগ করেন ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ। তিনি বলেন, অভ্যুত্থানের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ঘিরে কখনোই কোনো রাজনৈতিক উদ্যোগ গড়ে উঠবে না বলে একধরনের অঙ্গীকার ছিল। কিন্তু রাজনৈতিক দল গঠনের উদ্যোগে জড়িত থাকা জাতীয় নাগরিক কমিটির সঙ্গে তারা কেন যৌথ কর্মসূচি গ্রহণ করল, তা বাংলাদেশের জনগণের কাছে পরিষ্কার নয়।

সৈকত আরিফ আরও বলেন, জোর-জবরদস্তি করে জাতীয় ঐক্য করা যায় না। জাতীয় ঐক্যকে সুসংহত করতে হলে অভ্যুত্থানের সব শক্তিকে নিয়ে রাজনৈতিক কাউন্সিল গঠন করতে হবে। এর ভিত্তিতেই সংস্কার কর্মসূচি প্রণয়ন করতে হবে।

মঙ্গলবারের গপ্পোসপ্পোর সংগঠক সাইমুন নাহার কর্ষী আলোচনা অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।