টিআইবির দেওয়া কোটিপতির হিসাব উদ্দেশ্যপ্রণোদিত: তথ্যমন্ত্রী
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) দেওয়া কোটিপতির হিসাবে গরমিল আছে এবং তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, এই হিসাব দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার কোনো সুযোগ নেই।
আজ বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে টিআইবির দেওয়া তথ্য নিয়ে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
‘আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে কোটিপতি প্রার্থী বেশি’ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গ্রামেও এক কাঠা জমির দাম ২০ লাখ টাকা, ৫ কাঠা জমির দাম ১ কোটি টাকা। আর ঢাকা শহরে ১ কোটি টাকার নিচে কোথাও জমি নাই। চট্টগ্রাম শহরেও নাই। সুতরাং এই হিসাব দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার কোনো সুযোগ নাই। তাদের এই হিসাব ধরে যদি কোটিপতি গোনা হয়, তাহলে সেই হিসাবে গরমিল আছে এবং সেটা উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত।’
উল্লেখ্য, টিআইবি কোটিপতির হিসাব করেছে নগদ ও ব্যাংকে জমা টাকা, শেয়ার, সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ, সোনাসহ বিভিন্ন অস্থাবর সম্পদের ভিত্তিতে। জমি, বাড়ি বা ফ্ল্যাটের মতো স্থাবর সম্পদ এই হিসাবে আসেনি।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে টিআইবির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন হয়। সেখানে ‘নির্বাচনী হলফনামার তথ্যচিত্র: জনগণকে কী বার্তা দিচ্ছে?’ শিরোনামে বিশ্লেষণ তুলে ধরা হয়। বলা হয়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আগের চেয়ে কোটিপতি প্রার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্রদের মধ্যে কোটিপতি প্রার্থী বেশি। আওয়ামী লীগের প্রায় ৮৭ শতাংশ প্রার্থী কোটিপতি। স্বতন্ত্রদের ক্ষেত্রে এ হার প্রায় ৪৭ শতাংশ।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পদ্মা সেতুর দুর্নীতি নিয়ে টিআইবির খুব বড় গলা ছিল, প্রচুর প্রেস কনফারেন্স করেছে, বক্তৃতা-বিবৃতি দিয়েছে। পরে দেখা গেল যে পদ্মা সেতুতে দুর্নীতি তো হয়ই নাই, দুর্নীতি হওয়ার কোনো সুযোগও সৃষ্টি হয় নাই; কারণ, টাকা ছাড়া দুর্নীতি হয় কীভাবে! তারা নানা সময়ে নানা গবেষণা করে, পরে দেখা যায় সেগুলো আসলে গবেষণা নয়, কতগুলো রিপোর্ট। নিজেদের ইচ্ছেমতো বা সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়।’
বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীর ‘জনগণ ও বিদেশিরা নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে’ মন্তব্যের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘সারা দেশে এখন নির্বাচনী উৎসাহ-উদ্দীপনা। আর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এখন নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাচ্ছে। নির্বাচন যদি প্রত্যাখ্যান করত ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আমেরিকা অবজারভার পাঠাত না। ওআইসি, সার্কভুক্ত দেশগুলোসহ বিভিন্ন দেশ অবজারভার পাঠাত না। তাদের ভোটে আগ্রহ আছে এবং এই নির্বাচনকে গ্রহণ করেছে বিধায় তারা অবজারভার পাঠাচ্ছে।’