জাতিসংঘের প্রতিবেদনে অপরাধীদের বিচারের ব্যাপারে জাতি আশান্বিত: জামায়াতের আমির

জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমানছবি: প্রথম আলো

জাতিসংঘের প্রতিবেদনে জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের ‘সত্যতা’ উদ্‌ঘাটিত হওয়ায় অভিনন্দন জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার নির্দেশেই যে গত জুলাই-আগস্টে সব হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে, তা জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনের মাধ্যমে বিশ্ববাসীর কাছে উন্মোচিত হলো। এতে গোটা জাতি স্বস্তিবোধ করছে এবং অপরাধীদের বিচারের ব্যাপারে আশান্বিত হয়েছে।

আজ শনিবার এক বিবৃতিতে জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান এ কথা বলেন।

বিবৃতিতে জামায়াতের আমির বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ক্ষমতায় টিকে থাকতে গত বছরের ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশে যে অমানবিক ও নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, তারই স্বীকৃতি পাওয়া গেল জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদনে। খুনি ও খুনিদের মাস্টারমাইন্ডদের তথ্য ও পরিচয় এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে জাতিসংঘ বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরেছে। এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে ‘সত্য’ উদ্‌ঘাটিত হওয়ায় আমরা জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনকে আন্তরিক মোবারকবাদ ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।’

প্রকাশিত প্রতিবেদনের উল্লেখ করে জামায়াতের আমির আরও বলেন, বিশ্ববাসীর কাছে স্পষ্ট হয়েছে, খুনি শেখ হাসিনার নির্দেশেই দেশে সব হত্যাকাণ্ড সংঘটিত ও মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। খুনিদের মাস্টারমাইন্ড ও তার দোসরদের মাধ্যমেই দেশের নাগরিকদের ওপর অকথ্য জুলুম-নির্যাতন, গুম এবং চরম বীভৎস ও রোমহর্ষক গণহত্যা চালানো হয়েছে। লাশ স্তূপ করে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। বাংলাদেশের গণতন্ত্র এবং গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। আয়নাঘর বানিয়ে দেশের মানুষকে গুম ও পাশবিক নির্যাতন চালানো হয়েছে।

জামায়াতে ইসলামীর আমির বলেন, ‘মজলুমের পক্ষে নয়, বরং মজলুম বিষয়ে জাতিসংঘের এই প্রতিবেদন গণহত্যার দলিল হয়ে থাকবে। অন্তর্বর্তী সরকারকে সব গণহত্যাকারী এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার বিচার নিশ্চিত করতে হবে। জনগণ মনে করে, গণহত্যার অপরাধে অপরাধী হিসেবে আওয়ামী লীগের এ দেশে রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। এই জন–আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধের দাবির বিষয়টিও অন্তর্বর্তী সরকারকে বিবেচনায় নেওয়া উচিত বলে আমরা মনে করি।’