আমরা যখন কারাগারে যাই, তখন নজরুলকে স্মরণ করি: রিজভী
‘আজও আমরা গণতন্ত্র ও অধিকারহারা শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতির মধ্যে আছি’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘এই পরিস্থিতির প্রতিটি ক্ষণে নজরুল আমাদের প্রতিবাদের জন্য উদ্বুদ্ধ করছেন। আমরা যখন কারাগারে যাই, তখন নজরুলকে স্মরণ করি। আমাদের যখন বিচার হয়, তখনো তাঁকে স্মরণ করি।’
আজ শনিবার সকাল সাতটার দিকে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে তাঁর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন রিজভী।
জাতীয় কবির সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস, সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপনসহ একদল নেতা-কর্মী রিজভীর সঙ্গে ছিলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের মানবতা, স্বাধীনতা ও বিপ্লবের গান আমাদের প্রাণিত করেছে। আজও তা আমাদের উদ্বুদ্ধ করে। যে প্রতিবাদের ভাষা তিনি অত্যন্ত শৈল্পিক নৈপুণ্যে দিয়ে গেছেন, সেটি রপ্ত করে আমরা আজও গণতন্ত্র, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ফেরানো ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার লড়াই অব্যাহত রেখেছি।’
রিজভী আরও বলেন, ‘আমরা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছি বলে আমাদের কারাগারে নিচ্ছে, সাজা দেওয়া হচ্ছে। যেমন এই উপমহাদেশে প্রথম স্বাধীনতার মন্ত্র নজরুলের কণ্ঠ থেকে উচ্চারিত হয়েছিল বলেই তাঁকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তাই প্রতিটি মুহূর্তে নজরুলের কবিতা, গান ও সাহিত্য আমাদের উদ্বুদ্ধ করছে বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে প্রতিবাদ করতে, শত নির্যাতন-নিপীড়ন ভোগ করেও এগিয়ে যেতে।’
নজরুল যত দিন নির্বাক হননি, তত দিন নির্যাতন-নিপীড়ন সহ্য করেও নিপীড়িত মানুষের পক্ষে শাণিত লেখনী লিখে গেছেন বলে উল্লেখ করেন বিএনপির এই নেতা। তিনি বলেন, ‘নজরুল সব সময়ই প্রাসঙ্গিক। তাঁর পথ দিয়েই আবারও ইনশা আল্লাহ এ দেশে গণতন্ত্র, রাষ্ট্রের বহুমাত্রিক বৈশিষ্ট্য, কথা বলার স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে পারব।’
জাতীয় কবির সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস, সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপনসহ একদল নেতা-কর্মী রিজভীর সঙ্গে ছিলেন।