বিএনপির উদ্দেশে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘তাঁরা চুপি চুপি পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে গেছেন, লজ্জা লাগে। এখনো বিএনপির নেতাদের অনুরোধ জানাব, লজ্জা-শরম ভেঙে আসুন, আপনারা পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে ট্রেনে চড়ুন, টিকিটটা আমরাই কেটে দেব। আবার বিনা টিকিটে যাওয়ার চেষ্টা করবেন না।’
রংপুর ও দিনাজপুর জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বক্তব্য এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ। আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ বৈঠক হয়।
এ সময় তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মার্কিন জরিপে উঠে এসেছে, জননেত্রী শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা ৭০ ভাগ। পরশু দিন আইএমএফ রিপোর্ট দিয়েছে, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশ। আর পুরো পৃথিবীর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৩ শতাংশ। আমি জানি না, এসব জরিপ মির্জা ফখরুল সাহেবদের চোখে পড়ে কি না। তাঁদের চোখেও সমস্যা আছে, কানেও সমস্যা আছে। সেই সঙ্গে মনের সমস্যা আছে, বোধশক্তির সমস্যা আছে, সে কারণে তাঁরা এগুলো দেখেও দেখেন না, শুনেও শোনেন না।’
আজও নানামুখী ষড়যন্ত্র হচ্ছে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘দেশের গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করার জন্য একটি মহল উঠেপড়ে লেগেছে, একটি মহল দেশে তাঁবেদার সরকার বসাতে চায়। হামিদ কারজাই মার্কা সরকার বসাতে চায়। আরেকটি মহল সেটির মদদদাতা হিসেবে কাজ করছে। সেই প্রেক্ষাপটে আজকের এই বৈঠক তৃণমূলকে আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে কার্যক্রমের অংশ। কারণ, আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকি, দেশের কোনো শক্তি নেই আওয়ামী লীগকে পরাজিত করতে পারে। সে জন্য ঐক্য এবং সংহতির ওপর আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘পশ্চিম বাংলা বাম ফ্রন্ট তিন দশকের বেশি ক্ষমতায় ছিল সংগঠনের কারণে। মালয়েশিয়া যে দলের নেতৃত্বে স্বাধীনতা অর্জন করেছে, সেই দল পাঁচ দশকের বেশি ক্ষমতায় ছিল সংগঠনের কারণে। সিঙ্গাপুরে যে দলের নেতৃত্বে স্বাধীনতা এসেছে, সেই দল এখনো রাষ্ট্রক্ষমতায়। সেখানেও বহুমুখী গণতন্ত্র, কিন্তু সে দল এখনো রাষ্ট্রক্ষমতায়।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পরপর চতুর্থবার এবং পঞ্চমবারের মতো যদি জনগণ আমাদের দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দেয়, আগামী পাঁচ বছরে ইনশাহ আল্লাহ দেশ স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছে যাবে। তাহলে বিশ্ববাসী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বদলে যাওয়ার গল্প শুনবে। আজ যেমন আমরা লি কুয়ানের সিঙ্গাপুর বদলে যাওয়ার গল্প শুনি, মাহাথির মোহাম্মদের নেতৃত্বে মালয়েশিয়ার বদলে যাওয়ার গল্প শুনি, বিশ্বনেতারা আজ বাংলাদেশ বদলে যাওয়ার গল্প বলেন।’
সভায় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাহজাহান খান, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কেন্দ্রীয় সদস্য হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।