৮০৩ এসআই ও ৬১ এএসপি নিয়োগে জালিয়াতির অভিযোগ, ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি রিজভীর

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ডেঙ্গু প্রতিরোধে দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে বক্তব্য দেন। ঢাকা, ১৫ অক্টোবরছবি: বিজ্ঞপ্তি

পুলিশের ৮০৩ জন উপপরিদর্শক (এসআই) ও ৬১ জন সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) নিয়োগে ‘চরম জোচ্চুরি’ হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এই ৮০৩ জন সাব–ইন্সপেক্টরের মধ্যে ২০০ জন হলো গোপালগঞ্জের লোক। তাঁদের সবারই শেখ হাসিনার আমলে নিয়োগ হয়েছে।’

রাজধানীর উত্তরায় আজ মঙ্গলবার দুপুরে ডেঙ্গু প্রতিরোধে দলীয় এক কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে রুহুল কবির রিজভী এ অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, কয়দিন পরেই ‘পাসিং আউট’ হবে পুলিশের। এর মধ্যে ৮০৩ জন সাব–ইন্সপেক্টর ছাড়াও এএসপি আছেন ৬১ বা ৬৩ জন।

শেখ হাসিনার আমলে নিয়োগ পাওয়া তাঁরা সবাই ছাত্রলীগ ও যুবলীগ বলে মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এই যে ছাত্ররা আন্দোলন করল, আত্মাহুতি দিল, শার্টের বোতাম খুলে বুলেট বরণ করেছে, একজন মারা গেছে তো আরেকজন দাঁড়িয়ে বলেছে, আমাকে মারো—এই যে আত্মদান, এই যে নিজের জীবন বলি দিয়ে মহান গণতন্ত্রের শুভ সূচনা করল, সেই রক্তের সঙ্গে যারা বেইমানি করবে, মানুষ তা মেনে নেবে না। এটা অন্তর্বর্তী সরকারের দেখা দরকার, কী করে এক জেলা গোপালগঞ্জের ২০০ জন লোক এভাবে ঢুকতে পারে?’

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রিজভী অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনাদের ওপর মানুষের যে আস্থা, মানুষকে আস্থার প্রতিদান দিন। বাজারে যে সিন্ডিকেট করে আছে, তাদের কেন ধরছেন না? কেন পেঁয়াজের দাম বাড়বে, কেন কাঁচা মরিচের দাম বাড়বে? বাজারে বাজারে গিয়ে সিন্ডিকেটদের ধরে মানুষকে স্বস্তি দিন।’

ডেঙ্গু প্রতিরোধে সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘জনগণ যাতে আপনাদের সময় কোনো ধরনের মহামারিতে মৃত্যুবরণ না করে, এই জন্য ডেঙ্গু প্রতিরোধের ব্যবস্থা করতে হবে, হাসপাতালে শয্যা বাড়াতে হবে, সরঞ্জাম প্রস্তুত রাখতে হবে। শুধু ছাত্র-জনতার সরকার, নিরপেক্ষ সরকার বললে হবে না, এই নিরপেক্ষ সরকারের আবরণের নিচে অনেক পুলিশ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা আছেন, যাঁরা স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের দানব এজেন্ট। তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।’

ডেঙ্গু প্রতিরোধে দলীয় এক কর্মসূচিতে রিজভীর সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলীয় মেয়র পদপ্রার্থী তাবিথ আউয়াল, ঢাকা মহানগর বিএনপির নেতা আমিনুল হক, এস এম জাহাঙ্গীর, মোস্তফা জামান প্রমুখ।