সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ড বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়: রিজভী
সচিবালয়ের অগ্নিকাণ্ড বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, শেখ হাসিনার পরিবারের সদস্যদের দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু হওয়ার পরই সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
আজ শুক্রবার রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে জাতীয়তাবাদী ৮৮ এসএসসি ব্যাচ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় রিজভী এ মন্তব্য করেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, এখনো বিভিন্ন উপায়ে গণতন্ত্রবিরোধী শক্তি এবং পতিত স্বৈরাচারের দোসররা নানাভাবে কাজ করছে। একটির পর একটি ঘটনা সারা দেশের মানুষকে ভাবিয়ে তুলছে, আতঙ্কিত করছে। উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠায় নিমজ্জিত রাখছে।
রিজভী এ-ও বলেন, সচিবালয় চারদিক বেষ্টিত একটি সরকারি দপ্তর। সেখানে আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গেছে অনেক ফাইল। তার মধ্যে সবচেয়ে বিতর্কিত দুর্নীতিবাজ সাবেক কেবিনেট সচিব, যার নামে তদন্ত হচ্ছে, তার ফাইলও পুড়ে গেছে। এটা তো রহস্যজনক। আজকে সারা দেশের মানুষ সন্দেহ পোষণ করছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে রিজভী বলেন, আপনারা স্বৈরাচারের দোসরদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেননি। বিপ্লবী চেতনা নিয়ে, ছাত্র-জনতার স্পিরিটকে লালন করে প্রশাসন সাজানো হয়নি। সেই শেখ হাসিনার দোসর ও আওয়ামী লীগকে যাঁরা লালন-পালন করে ও সহযোগিতা করেছেন, মুজিব কোট পরে ওসি ও এসপির দায়িত্ব পালন করেছেন, তাঁরাই আজকে সচিবালয়ের বিভিন্ন পদে বসে আছেন। তাঁরা নানা কারসাজির মধ্য দিয়ে এই সরকারকে ব্যর্থ করার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
রিজভী বলেন, নির্বাচন তো গণতন্ত্রের একটা অনুষঙ্গ। আপনারা (অন্তর্বর্তী সরকার) একটাকে মাইনাস করছেন কেন? সংস্কার চলবে, নির্বাচন চলবে। আপনাদের স্ব স্ব অভিমতগুলো পেশ করবেন। একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণ যাকে ভোট দেবে, তারা সেই সংস্কার নিয়ে কাজ করবে। সেটা না করে আপনারা প্রতিপক্ষ বানাচ্ছেন। নির্বাচনকে আলাদা করে সংস্কারকে বড় করে দেখা হচ্ছে। এটা দুরভিসন্ধিমূলক মনে হচ্ছে।