খালেদা জিয়া রাজনীতি করতে পারবেন, তবে নির্বাচন করতে পারবেন না: কৃষিমন্ত্রী

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনীতি করতে বাধা নেই। তিনি কারাগারে থেকেও দল পরিচালনা করতে পারবেন, বিভিন্ন নির্দেশনা দিতে পারবেন। তবে সাজাপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে আইন অনুযায়ী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। এ ক্ষেত্রে নির্বাচনী আইনে যা আছে, তাই মানতে হবে। এখানে সরকার, নির্বাচন কমিশনসহ কারও কিছু করার নেই।

আজ বুধবার সচিবালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনরির সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হলেও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ২০২০ সালের মার্চ থেকে সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্ত সাপেক্ষে রাজধানীর গুলশানের বাসায় অবস্থান করছেন। সরকারের নির্বাহী আদেশে প্রথমে ছয় মাসের জন্য শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি পান খালেদা জিয়া। ছয় মাস পর এই মেয়াদ বাড়াচ্ছে সরকার। অন্যতম শর্ত হলো খালেদা জিয়া দেশের বাইরে যেতে পারবেন না। তবে দেশের মধ্যে চিকিৎসা নিতে পারবেন।

কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক আরও বলেন, সংবিধান অনুযায়ী দেশে নির্বাচন হবে। এর কোনো ব্যত্যয় হবে না। সংবিধানের বাইরে কারও কিছু করার নেই। নির্বাচন পর্যন্ত বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থাকবে। তারপর নির্বাচনে জনগণ ভোট না দিলে ক্ষমতা ছেড়ে চলে যাবে।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কৃষিমন্ত্রী বলেছেন, জাপানে আম রপ্তানির কাজ প্রায় চূড়ান্ত। শিগগিরই আম রপ্তানি শুরু হবে। বাংলাদেশের আম নিতে জাপানের আগ্রহ রয়েছে। রপ্তানির ক্ষেত্রে জাপানের পূর্বশর্ত পূরণে কাজ চলছে। একই সঙ্গে অন্যান্য ফলমূল ও শাকসবজি রপ্তানির সুযোগ তৈরি হবে।

জাপান কৃষিবিজ্ঞানীদের প্রশিক্ষণ, বাংলাদেশে কৃষিযন্ত্র তৈরির কারখানা স্থাপন ও কৃষি খাতে সহযোগিতা আরও বাড়াবে বলে জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাপান সফরের সময় এসব বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই হবে।