বুয়েটে জঙ্গিবাদের কারখানা হচ্ছে কি না খতিয়ে দেখা হবে: কাদের
ছাত্ররাজনীতি বন্ধের নামে বুয়েটকে জঙ্গিবাদের কারখানায় পরিণত করা হচ্ছে কি না, সরকার খতিয়ে দেখবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
আজ রোববার তেজগাঁও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম বিভাগের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করার নামে বুয়েটকে জঙ্গিবাদ, অপরাজনীতির কারখানায় পরিণত করা হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে। সেই রকম হলে সরকারকে অ্যাকশনে যেতে হবে।
কাদের বলেন, ‘আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা সব অপকর্ম, অন্যায়ের বিরুদ্ধে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। সেই নীতিতে আমরা এগিয়ে চলছি। বুয়েটে আবরার হত্যাকাণ্ডে আমরা ছাড় দিইনি। আজকে আমি রাজনীতি করি, সেখানে বুয়েটে যেতে পারব না? এটা কোন ধরনের আইন? এটা কোন ধরনের নীতি?’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সামনে উপজেলা নির্বাচন। নেত্রীর নির্দেশনা জানেন। আপনাদের প্রস্তাব ছিল কোনো প্রার্থী না দেওয়ার। আপনাদের খুব দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। একেকজনের একেক রকম কথাবার্তা দলকে বিভ্রান্ত করে। যা খুশি বলে দেবেন? এটা তো আওয়ামী লীগ নয়, ফ্রি স্টাইলে কথা বললে আমরা ব্যবস্থা নেব।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা মন্ত্রী–এমপিরা হস্তক্ষেপ থেকে বিরত থাকলে নেত্রী যে উদ্দেশ্য নির্বাচন করতে চেয়েছেন, সেটা বাস্তবায়িত হবে। নিজের ওপরে ছেড়ে দিলাম। আজকে আওয়ামী লীগের নেতারা চায়ের দোকানে বসে দলের বিরুদ্ধে কথা বলে। এ ধরনের নেতাদের পরিহার করতে হবে। উপজেলা নির্বাচন ফ্রি ফেয়ার ভোট হবে, জনগণ যাকে ভোট দেওয়ার দেবে। এখানে আপনারা ক্ষমতার অপব্যবহার করবেন না।’
কাদের বলেন, মঈন খানের মতো নেতারা আজকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার কথা বলেন। বিএনপির নেতাদের কেউ বলেন গণতন্ত্রের পুনরুদ্ধার, আবার কেউ বলেন ভারতের পণ্য বর্জন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির সব ইস্যু নির্বাচনে মার খেয়েছে। এখন তাদের নতুন ইস্যু ভারতবিরোধিতা। বিএনপি মিথ্যাচার করছে। বিএনপি যখন ক্ষমতা ছেড়ে যায়, তখন বাংলাদেশের রিজার্ভ ছিল সাড়ে তিন বিলিয়ন ডলার। এখন তারা আমাদের রিজার্ভ নিয়ে কটাক্ষ করে। এখন আমাদের রিজার্ভ ২১ বিলিয়ন ডলারের ওপরে।’
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোশাররফ হোসেন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আজকের মতবিনিময় সভায়। সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, কৃষিবিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, অর্থবিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপদপ্তর সায়েম খান প্রমুখ।