সংবিধান পুনর্লিখনে ৬৯ দফা প্রস্তাব
দুবারের বেশি কেউ রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রী নয়: জাতীয় নাগরিক কমিটি
বিদ্যমান সংবিধানের সংস্কার নয়, সম্পূর্ণ নতুন সংবিধান প্রণয়ন করার দাবি জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। এ লক্ষ্যে তারা সংবিধান সংস্কার কমিশনের কাছে ৬৯ দফা প্রস্তাব তুলে ধরেছে। তাদের প্রস্তাব হলো, নির্বাচনের মাধ্যমে গণপরিষদ গঠন করতে হবে। সেখানেই নতুন সংবিধান অনুমোদন করা হবে। জাতীয় নাগরিক কমিটি তাদের প্রস্তাবে বলেছে, দুবারের বেশি কেউ রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না।
আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনের কেবিনেট কক্ষে জাতীয় নাগরিক কমিটির সঙ্গে মতবিনিময় করে সংবিধান সংস্কার কমিশন। সেখানে নাগরিক কমিটি তাদের ৬৯ দফা লিখিত প্রস্তাব তুলে ধরে। মতবিনিময় শেষে নিজেদের প্রস্তাবের গুরুত্বপূর্ণ কিছু অংশ সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন ও মুখপাত্র সামান্তা শারমিন।
আখতার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, তাঁরা মনে করেন ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বিদ্যমান সংবিধান বাতিল হয়ে গেছে। বর্তমান সংবিধানের গঠন আওয়ামী লীগের দলিল বলে মনে হয়। গণ-অভ্যুত্থানের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে দেশ এখনো পৌঁছাতে পারেনি। এ জন্য নতুন সংবিধান প্রয়োজন। তাই তাঁরা বিদ্যমান সংবিধান সংস্কার বা সংশোধন নয়, সম্পূর্ণ নতুন করে সংবিধান রচনার প্রস্তাব করেছেন।
জাতীয় নাগরিক কমিটি সংবিধানের পাঁচটি মূলনীতি প্রস্তাব করেছে। সেগুলো হলো—সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার, নাগরিক অধিকার ও গণতন্ত্র। তারা দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ গঠন, সংসদের নাম ‘আইনসভা’ করা, সরকারের মেয়াদ চার বছর করাসহ নতুন সংবিধানের একটি রূপরেখা তুলে ধরেছে। তারা বলেছে, মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণাপত্রকে ‘প্রথম রিপাবলিকের প্রস্তাবনা’ এবং ‘দ্বিতীয় রিপাবলিকের প্রোক্লেমেশন’ জারি করে তা নতুন সংবিধানের প্রস্তাবনা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
নাগরিক কমিটির প্রস্তাব হলো—নতুন ‘লিগ্যাল ফ্রেমঅর্ডারের’ অধীন গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে। সংবিধান প্রণয়ন সম্পন্ন হলে ওই গণপরিষদই আইনসভায় রূপ নেবে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সব অংশীজনের কাছ থেকে পাওয়া প্রস্তাবের ভিত্তিতে সংবিধান সংস্কার কমিশন প্রস্তাব তৈরি করে তা শুধু সরকার নয়, সব অংশীজনের কাছে পাঠাতে হবে। তাদের মতামতের ভিত্তিতে চূড়ান্ত খসড়া গণপরিষদে তোলা হবে। এটাই হবে গণপরিষদের সংবিধান বিতর্কের মূল দলিল।
তারা আরও বলেছে, সংবিধানে প্রতি জাতিসত্তার স্বীকৃতি থাকতে হবে। বাংলাদেশের নাগরিকেরা ‘বাংলাদেশি’ হিসেবে পরিচিত হবে। সংবিধানে গণভোটের বিধান থাকতে হবে। গণভোট ছাড়া শুধু আইনসভার দুই-তৃতীয়াংশের জোরে সংবিধান সংশোধন করা যাবে না।
জাতীয় নির্বাচন প্রশ্নে নাগরিক কমিটির প্রস্তাব হলো—রাষ্ট্রকে সরকারের নির্বাহী বিভাগের হস্তক্ষেপের বাইরে আনা গেলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার আর প্রয়োজন হয় না। তবে আগামী দুই নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হতে পারে।
রাষ্ট্রপতি
নাগরিক কমিটির প্রস্তাবে বলা হয়ে, রাষ্ট্রপতি প্রজাতন্ত্রের নিয়মতান্ত্রিক প্রধান হবেন। জনগণের সরাসরি ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হবেন। দুবারের বেশি কেউ রাষ্ট্রপতি হতে পারবেন না। একজন রাষ্ট্রপতি পরবর্তী সময়ে প্রধানমন্ত্রী পদে নির্বাচন করতে পারবেন না।
রাষ্ট্রপতি সংসদের উভয় কক্ষের যৌথসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের আস্থাভাজনকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেবেন। এ ছাড়া আইনের দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে মনোনীত ব্যক্তিকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেবেন। অন্যান্য সাংবিধানিক পদেও আইনের দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে নিয়োগ দেবেন।
রাষ্ট্রপতি দণ্ড মওকুফ বা ক্ষমা ঘোষণা করতে পারবেন। তবে এ ক্ষেত্রে সংসদের উচ্চকক্ষের প্রস্তাব/পরামর্শ লাগবে। রাষ্ট্রপতি যেকোনো আইন-বিধান-বিধি-প্রবিধান-নীতি বা চুক্তি/স্মারক অনুমোদন বা স্বাক্ষরের আগে সংবিধানসম্মত হয়েছে কি না, তা পরীক্ষার জন্য সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট বিভাগে মতামতের জন্য পাঠাতে পারবেন। যেকোনো ব্যক্তি, সংস্থা, কর্মবিভাগ সম্পর্কে তদন্ত/নিরীক্ষার জন্য ন্যায়পালকে নির্দেশ দিতে পারবেন। অধ্যাদেশ প্রণয়নের আগে তা ক্রমানুসারে সংসদের উচ্চকক্ষ বা সংসদীয় কমিটি বা সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট বিভাগের মতামত/পরামর্শ গ্রহণ করবেন। যেকোনো বিষয়ে আলোচনার জন্য রাষ্ট্রপতি সংসদে প্রস্তাব পাঠাতে পারবেন। রাষ্ট্রপতির কাস্টিং ভোট থাকবে। রাষ্ট্রপতি তিন বাহিনীর প্রধান থাকবেন এবং জরুরি অবস্থা বিষয়ে উচ্চকক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে। জরুরি অবস্থা ঘোষণার জন্য সংসদের উভয় কক্ষের সভায় পাস হওয়া প্রস্তাব রাষ্ট্রপতির কাছে আসতে হবে। নিম্নকক্ষের অনুপস্থিতিতে কেবল উচ্চকক্ষ প্রস্তাব পাঠাতে পারবে। জরুরি অবস্থা চলাকালীন মৌলিক অধিকার রদ করা যাবে না। কেবল সংসদ নেতার পরামর্শক্রমে রাষ্ট্রপতি সময়ের আগে সংসদ ভেঙে দিতে পারবেন।
প্রধানমন্ত্রী
নাগরিক কমিটি প্রস্তাব করেছে, কেউ প্রধানমন্ত্রী হলে তিনি একই সঙ্গে নিজ দলের প্রধান এবং সংসদ নেতা হতে পারবেন না। জীবনে দুবারের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না এবং প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর রাষ্ট্রের আর কোনো পদেই তিনি আসীন হবেন না। কোম্পানি বা ব্যবসায়ী উদ্যোগের ক্ষেত্রেও বিধিনিষেধ থাকবে। প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় সব সম্পদ এবং সম্পত্তি রাষ্ট্রীয় ব্যাংকের অধীনে চলে যাবে।
কোনো সাংবিধানিক পদের নিয়োগে প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতিকে পরামর্শ দিতে পারবেন; তবে তা পালন করা রাষ্ট্রপতির জন্য আবশ্যকীয় হবে না। সাংবিধানিক পদে নিয়োগ ও অপসারণ আইন দ্বারা নির্ধারিত হবে। সাংবিধানিক পদে আসীন কাউকে অপসারণ করার ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর থাকবে না।
৭০ অনুচ্ছেদের কঠোরতা খর্ব করতে হবে। সংসদ সদস্যরা দল বদল করলে তথা অন্য কোনো রাজনৈতিক দলে যোগ দিলে বা দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে পদত্যাগ করলে বা অব্যাহতি দেওয়া হলে তার সংসদ পদ শূন্য হবে। আস্থা ভোটে দলের বিপরীতে ভোট দেওয়া যাবে না। অন্য যেকোনো বিষয়ে তিনি স্বাধীন থাকবেন, দলের বিরুদ্ধে ভোট দিতে পারবেন।
প্রধানমন্ত্রী বা মন্ত্রিসভার যাবতীয় সিদ্ধান্ত রদ করা বা চ্যালেঞ্জ করার ক্ষমতা সংসদীয় দলের থাকবে। প্রধানমন্ত্রী হবেন সম ব্যক্তিদের মধ্যে প্রথম তথা প্রধানমন্ত্রী ক্রম বিচারে প্রথম হবেন; ক্ষমতা বিচারে নয়। মন্ত্রিসভার সদস্যদের প্রধানমন্ত্রী চয়ন করবেন। তবে সংসদের তাতে অনুমোদন নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রীদের দপ্তর বণ্টন করবেন এবং রদবদল করতে পারবেন। তবে অপসারণ করতে হলে সংসদের অনুমোদন নিতে হবে।
সংসদীয় কমিটির ক্ষমতা বাড়াতে হবে। মন্ত্রিসভার যাবতীয় সিদ্ধান্ত সংসদীয় কমিটি চ্যালেঞ্জ করতে পারবে। শুনানি এবং সুপারিশের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত আইনসভায় পাঠাবে মন্ত্রিসভা। সুপারিশ আইনসভায় ভোটাভুটির মুখোমুখি হবে।
প্রধানমন্ত্রী জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে রাষ্ট্রপতিকে পরামর্শ দেওয়ার অধিকারী হবেন। তবে তা পালন করা রাষ্ট্রপতির জন্য আবশ্যকীয় হবে না। আইনসভাই কেবল সিদ্ধান্ত নেবে। তবে জরুরি আইন/আদেশ সর্বোচ্চ আদালতের কাছে পাঠাতে হবে। আদালত আইনটির সাংবিধানিকতা/অসাংবিধানিকতা সম্পর্কে রায় দেবেন।
প্রধানমন্ত্রী প্রতিরক্ষা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত বাহিনীগুলোর রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের প্রধান হবেন। কোনো বাহিনীই সরাসরি তার অধীন থাকবে না। প্রতিরক্ষা বা স্বরাষ্ট্র কোনো মন্ত্রণালয়ই প্রধানমন্ত্রী নিজে প্রধান হিসেবে থাকতে পারবে না। বাহিনীর ‘চেইন অব কমান্ড’ আইন ও বিধি দ্বারা সংগত থাকবে। চেইন অব কমান্ডে হস্তক্ষেপ হবে অবৈধ। তবে যেকোনো কার্যের সঠিকতা সম্পর্কে জবাবদিহি থাকবে।
কোনো আদালতই প্রধানমন্ত্রীকে অপসারণে রায় ঘোষণা করতে পারবেন না। কেবল সংসদ কর্তৃক আস্থাভোটই হবে তাকে অপসারণের বৈধ উপায়।
সাংবিধানিক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী যেন একক কর্তৃত্ব ভোগ না করেন, সেই ব্যবস্থা করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী পরবর্তী সময়ে রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচন করতে পারবেন। প্রধানমন্ত্রী নিম্নকক্ষের প্রধান থাকবেন এবং যে কোনো পলিসি তৈরির মাধ্যমে জনগণের কল্যাণে রাষ্ট্রের কাজ করবেন। নির্বাহী বিভাগ পরিচালনা করবেন প্রধানমন্ত্রী। তবে নিয়োগের ক্ষমতা থাকবে না প্রধানমন্ত্রীর হাতে। যেকোনো নিয়োগ প্রদান করবে উচ্চকক্ষ। নিম্নকক্ষ বা প্রধানমন্ত্রীর কোনো অনুমতি লাগবে না।
সংসদ
নাগরিক কমিটির প্রস্তাব হলো আইন সভা হবে দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট। উচ্চকক্ষের নাম হবে জাতীয় পরিষদ এবং নিম্নকক্ষের নাম হবে আইনসভা। উচ্চকক্ষ রাষ্ট্রপতির অধীনে; নিম্নকক্ষ প্রধানমন্ত্রীর অধীনে থাকবে। উচ্চকক্ষের সদস্যদের নিয়ে কিছু সংসদীয় কমিটি হবে, এই কমিটি নিম্নকক্ষের কাজ তদারকি করবে এবং গণশুনানি করতে পারবে। উচ্চকক্ষ পরপর তিনবার কোনো আইন পাস না করলে তা গণভোটে যাবে। উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষ উভয়ের মেয়াদ ৪ বছর হবে।
জাতীয় পরিষদে ১০০ আসন থাকবে। এখানে নির্বাচন হবে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে। আইনসভায় ৩০০টি আসনে সরাসরি ভোট হবে। সেখানে সংরক্ষিত আসন রাখা যেতে পারে। জাতীয় পরিষদের ১০০ আসনের মধ্যে কমপক্ষে ৩৩টি আসনে পেশাজীবী-কৃষক-শ্রমিক-ছাত্র-আইনজীবী- চিকিৎসক-প্রকৌশলী-কৃষিবিদ-সাংবাদিকসহ আইন দ্বারা তফসিলভুক্ত পেশা এবং পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর মানুষকে মনোনয়ন দিতে হবে।
উভয় কক্ষে পৃথকভাবে পাস হওয়ার পরই কেবল আইন প্রণয়ন হবে। উভয় কক্ষের সমন্বয়ে সর্বদলীয় সংসদীয় কমিটি গঠন করা হবে। সংসদীয় কমিটি মন্ত্রণালয়ের যেকোনো সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে, তা সংসদের বিবেচনায় পেশ করতে পারবে। সব সাংবিধানিক পদ ও মন্ত্রিসভার সদস্য নিয়োগের পূর্বে তাকে জাতীয় পরিষদের শুনানিতে বাধ্যতামূলক উপস্থিত হতে হবে। ফলাফল অসন্তোষজনক হলে তাঁকে নিয়োগ করা যাবে না।
আইনসভা ও জাতীয় পরিষদের সদস্য এবং তাদের পরিবারের সম্পদের হিসাববছরে দুবার জনগণের সামনে হাজির করতে হবে। সম্পদ বৃদ্ধি বৈধ উপায়ে ও যৌক্তিকভাবে হয়েছে কি না, তা দুর্নীতি দমন কমিশন নির্ধারণ করবে।
নাগরিক কমিটি তাদের প্রস্তাবে সংসদ নেতা ও বিরোধীদলীয় নেতার দায়িত্ব কেমন হবে, সেটাও তুলে ধরেছে। তারা বলেছে, প্রধানমন্ত্রী, সংসদ নেতা এবং রাজনৈতিক দলের প্রধান ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তি হবেন। সংসদের জরুরি বৈঠক আহ্বানে রাষ্ট্রপতিকে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও সংসদ নেতা পরামর্শদানের অধিকারী হবেন। সংসদীয় দলের বৈঠকে সংসদ নেতা সভাপতিত্ব করবেন। নির্বাচনী ইশতেহার (মেনিফেস্টো) লঙ্ঘন হলে তিনি তা সংসদে উত্থাপন করবেন। সংসদীয় কমিটি গঠনে নিজ সংসদীয় দলের পক্ষে তিনিই প্রস্তাব আনবেন এবং সংসদ তা চূড়ান্ত করবে।
অন্যদিকে বিরোধীদলীয় নেতা ছায়া-মন্ত্রিসভা গঠন করতে পারবেন। সংসদীয় কমিটিগুলোকে সরকারের নীতির সমালোচনা পাঠাবেন।
বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন, সব বিভাগে হাইকোর্ট, বিচার বিভাগের আলাদা সচিবালয় গঠনের প্রস্তাব করেছে নাগরিক কমিটি। তারা আরও বলেছে, বিদ্যমান সংবিধান মৌলিক অধিকারের নিশ্চয়তা দেয় না, হরণ করে মাত্র। শর্ত সাপেক্ষে যৌক্তিক বাধা, নিষেধ ইত্যাদি উঠিয়ে দিয়ে মৌলিক অধিকারকে নিরঙ্কুশ করতে হবে।
সংবিধান সংস্কার কমিশনের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন, মুখপাত্র সামান্তা শারমিন, কেন্দ্রীয় সদস্য সারোয়ার তুষার, মুকুল মুস্তাফিজ, জহিরুল ইসলাম, আতিক মুজাহিদ এবং সালেহ উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
সংবিধান সংস্কার কমিশনের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের প্রধান আলী রীয়াজ, সদস্য ফিরোজ আহমেদ, মুস্তাইন জহির, সুমাইয়া খায়ের, মোহাম্মদ ইকরামুল হক, মইন আলম ফিরোজি, ইমরান সিদ্দিকি। মতবিনিময় শেষে জাতীয় নাগরিক কমিটি কমিশনের কাছে লিখিত প্রস্তাব হস্তান্তর করে।