পুলিশের বাধায় গণ অধিকার পরিষদের কফিন মিছিল পণ্ড
গণ অধিকার পরিষদের কফিন মিছিলে নেতা–কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটেছে। এতে মিছিল পণ্ড হয়ে যায় বলে অভিযোগ করেছেন গণ অধিকার পরিষদের নেতারা। আজ শনিবার সকালে রাজধানীর বিজয়নগরের পানির ট্যাংক মোড় এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে।
গণ অধিকার পরিষদ জানায়, ভোটাধিকার হরণ ও নির্বাচনব্যবস্থা ধ্বংসের প্রতিবাদে পূর্বঘোষিত সমাবেশ ও কফিন মিছিলের কর্মসূচি ছিল। বেলা সাড়ে ১১টায় পানির ট্যাংক মোড়ে সমাবেশ শুরু হয়। গণ অধিকার পরিষদের নেতা–কর্মীদের অভিযোগ, সমাবেশ শেষে কফিন মিছিল করতে গেলে পুলিশ মারমুখী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। কফিন মিছিল বন্ধ না করলে গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর ও সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খানের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে পুলিশ। এ সময় পরিষদের নেতাদের সঙ্গে পুলিশ ধস্তাধস্তি করে কফিন ভেঙে ফেলে। পুলিশি বাধা ও ধস্তাধস্তিতে শীর্ষ নেতারাসহ অনেকে আহত হন।
ওই ঘটনার পর গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করতে চেয়েছিলাম। সেখানে পুলিশ বাধা দিয়েছে, কফিন ভেঙে ফেলেছে। এটি কি পুলিশ করতে পারে?’ তিনি বলেন, ‘আমাদের চেয়ে পুলিশের সংখ্যা বেশি, তাদের অনেকের হাতে ইলেকট্রিক শক লাঠি, টিপ ছুরির মতো জিনিস ছিল। ভিড়ের মাঝে কাউকে ছুরিকাঘাত করা বা পুলিশেরই কোনো সদস্যকে ছুরিকাঘাত করে আমাদের ওপর দায় চাপাত। যেভাবে ২৮ অক্টোবর ছাত্রলীগ, যুবলীগকে দিয়ে পুলিশ হত্যা করে মির্জা ফখরুলদের আসামি করেছে।’
মিছিল শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নুরুল হক বলেন, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর মধ্যরাতে ৬০ শতাংশ ভোট কেটে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে নির্বাচনব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হয়েছে। জনগণের ভোটাধিকার হরণ ও নির্বাচনব্যবস্থাকে ধ্বংসের প্রতিবাদে এই কফিন মিছিল।
ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার হায়াতুল ইসলাম খান প্রথম আলোকে বলেন, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা মেনে মিছিলে বাধা দেওয়া হয়েছে। পরে তাদের নেতা–কর্মীরা চলে গেছেন। এখানে আইনের কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি।