দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে প্রথম পর্যায়ে দেশের ৮ বিভাগের ৪৭ জন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) বদলির প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ সোমবার ইসি এ প্রস্তাবে সম্মতি দেয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
ইসি সূত্র জানায়, প্রথম পর্যায়ে ঢাকা বিভাগের ১৩ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৮ জন, বরিশাল বিভাগের ২ জন, খুলনা বিভাগের ৪ জন, ময়মনসিংহ বিভাগের ৬ জন, সিলেট বিভাগের ৬ জন, রাজশাহী বিভাগের ৬ জন ও রংপুর বিভাগের ২ জন ইউএনওকে বদলির প্রস্তাবে সম্মতি দেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ২৫০ জন ইউএনওকে বদল করা হতে পারে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে দেশের সব ইউএনওকে পর্যায়ক্রমে বদলি করার সিদ্ধান্ত নেয় ইসি। ইউএনওদের বদলির বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে গত ৩০ নভেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়। তাতে বলা হয়, প্রথম পর্যায়ে যেসব ইউএনওর বর্তমান কর্মস্থলে দায়িত্ব পালনের মেয়াদ এক বছরের বেশি হয়ে গেছে, তাঁদের অন্য জেলায় বদলির প্রস্তাব ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে ইসিতে পাঠানো প্রয়োজন। ইউএনওদের পাশাপাশি সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদেরও (ওসি) পর্যায়ক্রমে বদলির নির্দেশ দিয়েছে ইসি।
এত দিন ধরে ইসি বলে আসছিল, পুলিশ ও প্রশাসনের মাঠপর্যায়ে বড় রদবদল আনা হবে না। গত ২২ নভেম্বর নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর সাংবাদিকদের বলেছিলেন, মাঠ প্রশাসনে রদবদল করতে গিয়ে বিশৃঙ্খলা হলে তার দায় কে নেবে?
প্রশাসনে রদবদল করা হবে কি না—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে গত রোববার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল পাল্টা প্রশ্ন রেখেছিলেন, প্রশাসনে রদবদল কে কখন করেছিল? তিনি বলেন, তাঁরা নির্বাচনের স্বার্থে যেটা ভালো মনে করবেন, সেটা করবেন। তবে এখতিয়ারের বাইরে যাবেন না। এখতিয়ারের মধ্যে যা আছে, তা করবেন।
সিইসির এই বক্তব্যের চার দিনের মাথায় পুলিশের মাঠপর্যায়ে বড় রদবদল আনার সিদ্ধান্ত নেয় ইসি। গত বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশের মহাপরিদর্শক ও জননিরাপত্তা বিভাগের সচিবের সঙ্গে বৈঠক করে ইসি। ওই দিন বিকেলে জনপ্রশাসন সচিবের সঙ্গেও বৈঠক হয়। এরপর পুলিশ ও প্রশাসনের মাঠপর্যায়ে রদবদলের চিঠি দেওয়া হয়।
জাতীয় নির্বাচনসংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, তফসিল ঘোষণার পর বিভাগীয় কমিশনার থেকে নিচের পদগুলোতে ইসির সঙ্গে আলোচনা ছাড়া বদলি করা যায় না।