নির্বাচনের রোডম্যাপের জন্য আলোচনা শুরু করা প্রয়োজন

বাম গণতান্ত্রিক জোটছবি: সংগৃহীত

নির্বাচিত সরকার ছাড়া সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষা করা যাবে না উল্লেখ করে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা বলেছেন, এ জন্য নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার করে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করার জন্য প্রধান অংশীজন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে এখনই আলোচনা শুরু করা প্রয়োজন।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে শনিবার বিকেলে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এমনটাই জানিয়েছেন বলে জানান সিপিবি ও বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা।

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে সিপিবি ও বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিপিবির সভাপতি শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন, দলটির সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সহকারী সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান, বাসদের প্রধান উপদেষ্টা খালেকুজামান, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির, বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক মাসুদ রানা, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আবদুল আলী।

বৈঠক শেষে বেরিয়ে সিপিবি ও বাম জোটের নেতারা সাংবাদিকদের আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারার ঘটনা জনগণের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে। দ্রব্যমূল্য সহনীয় রাখতে বাজার ও সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করা দরকার বলেও প্রধান উপদেষ্টাকে জানিয়েছেন তাঁরা।

স্বল্প মজুরি, বকেয়া মজুরি, বন্ধ কারখানা নিয়ে অনিশ্চয়তা শিল্পাঞ্চলে শ্রমিক অসন্তোষের অন্যতম কারণ বলে মনে করেন সিপিবি ও বাম জোটের নেতারা। তাঁরা বলেছেন, শ্রমিকের সমস্যা সমাধানে আলোচনাকে প্রাধান্য দিয়ে কার্যক্রম শুরু করতে হবে। শিল্পাঞ্চলে নানা ধরনের ব্যবসার পাল্টাপাল্টি দখল নিয়ে যারা সংকট সৃষ্টি করতে চায়, তাদের বিষয়ে সতর্ক পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।

এ ছাড়া সিপিবি ও বাম জোটের নেতারা বলেন, সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। সংস্কারের লক্ষ্যে গঠিত কমিশনগুলোর কার্যপরিধি ও রোডম্যাপ সম্পর্কে জানা থাকলে দেশবাসী আশ্বস্ত হবে। তাঁরা আরও বলেন, কমিশনের প্রধানদের নিয়ে, বিশেষ করে সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান নিয়ে বিতর্ক ও সন্দেহ অনভিপ্রেত। সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের লক্ষ্যে সংবিধান যতটুকু সংশোধন দরকার, ততটুকু সংশোধন করার উদ্যোগই যথার্থ হবে বলে তাঁরা মনে করেন।