নতুন নির্বাচনের দাবিতে শুক্রবার বিক্ষোভ করবে গণতন্ত্র মঞ্চ

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে গণতন্ত্র মঞ্চছবি: প্রথম আলো

অংশগ্রহণমূলক নতুন নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা। এই লক্ষ্যে আগামী শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) বেলা তিনটায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি দিয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চ। আজ মঙ্গলবার বিকেলে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কর্মসূচির বিষয়টি জানানো হয়।

এর আগে আজ সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এ সময় গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা দাবি করেন, তামাশার নির্বাচন বর্জন করে জনগণ নতুন গণপ্রতিরোধের সূচনা করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে মঞ্চের নেতারা বলেন, দেশের জনগণ ৭ জানুয়ারির ভোট বর্জন ও প্রত্যাখ্যান করেছে। মানুষ তামাশার নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে তাদের রায় জানিয়ে দিয়েছে। এটা কোনো নির্বাচন নয়, জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে জবরদস্তি কায়দায় ক্ষমতার নবায়ন মাত্র। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবিতে জনগণের নতুন লড়াই চলবে।

নির্বাচন কমিশনের ভূমিকার সমালোচনা করে নেতারা বলেন, সরকারি দলের মনোনীত প্রার্থীর বিপরীতে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) লঙ্ঘন করে অনুমোদিত স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ার বেআইনি তৎপরতায় তারা কোনো প্রশ্নই তোলেনি।

নেতারা আরও বলেন, সারা দুনিয়াতেও এ নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয়নি। ইতিমধ্যে বিভিন্ন দেশ নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয়নি বলে তাদের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে দিয়েছে। এই ‘প্রহসনের নির্বাচনী ট্রেন’ দেশকে ধ্বংসের দিকে ধাবিত করবে। জনগণের প্রবল ও সম্মিলিত আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দেশবিরোধী এই সরকারকে বিদায় করলেই বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তর করা যাবে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। সম্মেলনে উপস্থিত থেকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন এবং রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের রাজনৈতিক সমন্বয়ক ফরিদুল হক।