আন্দোলন ঘিরে সংঘর্ষে আহতদের চিকিৎসায় সরকারের অঙ্গীকার অবিলম্বে বাস্তবায়ন করতে হবে

সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে দেশের বিভিন্ন এলাকায় সংঘর্ষ হয়। এতে দুই শর বেশি নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছেফাইল ছবি: প্রথম আলো

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার সব দায়িত্ব গ্রহণ করা নিয়ে সরকারের অঙ্গীকার অবিলম্বে বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন সাবেক ও বর্তমান ছাত্রনেতারা। আজ রোববার রাজধানীর গুলিস্তানে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে শহীদ কর্নেল তাহের মিলনায়তনে এক সভায় এ দাবি জানানো হয়।

সভায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন ছাত্রনেতারা। এ সময় আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় শিক্ষার্থী, শিশু, সাধারণ পথচারী, খেটে খাওয়া মানুষ, সাংবাদিক ও পুলিশ নিহত হওয়ায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করা হয়। একই সঙ্গে নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের দায়িত্ব সরকারকে নেওয়ার আহ্বান জানান তাঁরা।

সভায় ছাত্রনেতারা কোটা সংস্কার আন্দোলন ‘হাইজ্যাক করে বিএনপি, জামায়াত ও জঙ্গিরা’ যাতে অপরাজনীতি করতে না পারে, সে বিষয়ে ছাত্রছাত্রীদের সজাগ থাকার অনুরোধ জানান। পাশাপাশি কোটা সংস্কার আন্দোলনকে পুঁজি করে অগ্নিসংযোগ ও নৈরাজ্যের রাজনীতির বিরুদ্ধে জাতীয় ঐকমত্য গড়ে তোলার আহ্বান জানান তাঁরা।

জাসদ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আবদুল্লাহিল কাইয়ূমের সভাপতিত্বে সভাটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইছহাক আলী খান। সভায় সাবেক ছাত্রনেতাদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এনামুল হক শামীম, সাবেক সহসভাপতি মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুজ্জামান শিখর, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী, সাবেক সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ, জাসদ ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি মোহাম্মদ মোহসীন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রোকনুজ্জামান, সাবেক সভাপতি ওবায়দুর রহমান ও সাবেক সভাপতি শরিফুল কবির।

বর্তমান ছাত্রনেতাদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, জাসদ ছাত্রলীগের সভাপতি রাশিদুল হক, বাংলাদেশ ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি অতুলন দাস, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ, জাসদ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ আহমেদ, ছাত্রমৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক অদিতি আদৃতা প্রমুখ।