আর কোনো নতুন বয়ান চাই না: আমীর খসরু
ক্ষমতায় থাকতে শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনা নানা ‘বয়ান’ তৈরি করেছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেছেন, আর কোনো নতুন বয়ান চান না। এখন একমাত্র বয়ান হচ্ছে, গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরে আসতে হবে।
রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে মঙ্গলবার দুপুরে এক আলোচনা সভায় আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এ কথা বলেন। ‘ভয়েস অব ডেমোক্রেসি অ্যান্ড ভোটার রাইটস’ নামের একটি সংগঠন এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ: নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক এ সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী অধ্যাপক এম মুজিবুর রহমান।
আমীর খসরু বলেন, যত দ্রুত সম্ভব বাংলাদেশে একটি নির্বাচিত সরকার গঠিত হতে হবে, যারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে, জবাবদিহি থাকবে। তিনি আরও বলেন, ‘আপনি যদি নির্বাচিত না হন, তাহলে আপনার তো কোনো দায়বদ্ধতা নেই, জবাবদিহি নেই। হাসিনার কোনো জবাবদিহি ছিল না। কারণ, সে তো নির্বাচিত ছিল না। শেখ মুজিবুর রহমানের সময়ে উনি যে বাকশাল করেছিলেন—একদলীয় শাসন; ওনারা নির্বাচনের ধার ধারেননি। ওই জন্য বয়ান সৃষ্টি করা হয়। সে বয়ানে উনি দেশ চালিয়ে গেছেন। হাসিনা আরেক বয়ানে চালিয়ে গেছেন। আমরা আর নতুন বয়ান চাই না।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘একমাত্র বয়ান হচ্ছে গণতান্ত্রিক অর্ডার (ধারায়) ফিরে আসতে হবে। জনগণের কাছে জনগণের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে। জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে। আপনি গণতন্ত্রের কথা বলেন, আর নিত্যনতুন বয়ান সৃষ্টি করে জনগণের ক্ষমতা সীমিত করবেন, সেটা গ্রহণযোগ্য হবে না।’
আওয়ামী লীগকে নাকচ করতে হলে ভোটের মাধ্যমে করতে হবে বলে মন্তব্য করেন আমীর খসরু। তিনি বলেন, ফ্যাসিস্টকে ভোটের মাধ্যমে চরমভাবে পরাজিত করতে হবে। অন্য কোনোভাবে সেটা করতে গেলে তা সুফল বয়ে আনবে না।
আবারও জাতীয় ঐকমত্যের সরকার গঠনের কথা উল্লেখ করে আমীর খসরু বলেন, ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে থাকা সব দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটা জাতীয় সরকার গঠন করা হবে। জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হবে। জনগণের আস্থা নিয়ে সংস্কার করতে হবে। সেটা একমাত্র সম্ভব নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে।
আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক সাংবাদিক মোস্তফা কামাল মজুমদারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের রহমতুল্লাহ প্রমুখ।