রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শন অপরিহার্য হয়ে দাঁড়িয়েছে: নিক্সন চৌধুরী
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও সংসদ সদস্য মুজিবর রহমান চৌধুরী নিক্সন বলেছেন, দেশে স্বাধীনতাবিরোধীরা যেভাবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে, তাতে রাজনৈতিক শক্তি ও সামর্থ্য প্রদর্শন করা এখন অপরিহার্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, নরসিংদী ও মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী যুবলীগের নেতাদের নিয়ে যুবলীগের সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন কমিটির প্রস্তুতি সভায় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নিক্সন চৌধুরী এ কথা বলেছন। শনিবার সকালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যুবলীগ নেতারা এই সভা করেন।
নিক্সন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভাটি সঞ্চালনা করেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুব্রত পাল। যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন কমিটির আহ্বায়ক নিক্সন চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ প্রতিটি আন্দোলন ও সংগ্রামে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভোট ও ভাতের অধিকার আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনসহ প্রতিটি আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুকন্যার প্রধান শক্তি হিসেবে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে যুবলীগ। সমাবেশে সশরীর উপস্থিত হওয়ার সম্মতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী যুবলীগের ওপর সর্বোচ্চ আস্থা রেখেছেন। তাঁর আস্থার মর্যাদা দিতে হবে আমাদের।’
ফরিদপুর-৪ আসনের এ সংসদ সদস্য বলেন, আগামী নির্বাচন কেন্দ্র করে বিএনপি–জামায়াত পুরো বাংলাদেশে যে নৈরাজ্য ও সন্ত্রাস সৃষ্টি করছে, তার জবাব যে যুবলীগ সংগঠন হিসেবে যেকোনো সময় দেওয়ার সক্ষমতা রাখে, সেই প্রমাণ এই সমাবেশের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত করা হবে। স্বাধীনতাবিরোধীরা যেভাবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে, তাতে রাজনৈতিক শক্তি ও সামর্থ্য প্রদর্শন করা এখন অপরিহার্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
স্বাধীনতাবিরোধীদের মোকাবিলা করার জন্য যুবলীগের সম্মানিত চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের নেতৃত্বে যুবলীগ একাই এক শ। এ ছাড়া সারা দেশে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা যাঁরা লালন ও ধারণ করেন, তাঁদের এই মহাসমাবেশ উৎসাহিত করবে এবং অনুপ্রেরণা দেবে।
নিক্সন চৌধুরী আরও বলেন, ‘আগামী ১১ নভেম্বর আপনাদের প্রিয় সংগঠন আওয়ামী যুবলীগের ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও সুবর্ণজয়ন্তী। সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে যুব মহাসমাবেশে দেশবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে দাঁতভাঙা জবাব দেবে যুবলীগ। যুবলীগের সুবর্ণজয়ন্তীর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উৎসব যুবলীগের নেতা-কর্মীদের উৎসব।
সভায় আরও বক্তব্য দেন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আলম জোয়ার্দার, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মাজহারুল ইসলাম, জহির উদ্দিন খসরু, আবু মুনির মো. শহিদুল হক চৌধুরী, মশিউর রহমান, প্রচার সম্পাদক ও সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন কমিটির সদস্য জয়দেব নন্দী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক ও সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন কমিটির সদস্য সাদ্দাম হোসেন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন কমিটির সদস্য বিপ্লব মোস্তাফিজ, কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক ও সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন কমিটির সদস্য হেমায়েত উদ্দিন মোল্লা, উপ-অর্থবিষয়ক সম্পাদক ও সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন কমিটির সদস্য সরিফুল ইসলাম।