হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়ানো ইতিবাচকভাবে নেয়নি মানুষ: রিজভী
ভারতের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়টি বাংলাদেশের মানুষ ইতিবাচকভাবে নেয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, এখানে গণতন্ত্র থাকবে, সেখানে আইনের শাসন থাকবে। কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ভারত আইনের শাসন মানে না। সব সময় আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে কাজ করে।
আজ বুধবার ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহীদ দশম শ্রেণির ছাত্র শাহরিয়ার খান আনাসের পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে রিজভী এ কথাগুলো বলেন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা মিডিয়ার সামনে প্রকাশ্যে শিশু, তরুণ, যুবকদের গুলি করে হত্যা করেছে। তাঁদের কেন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না—এই প্রশ্ন রেখে রুহুল কবির রিজভী বলেন, সরকারের উচিত ছিল জুলাই-আগস্টের হত্যাকারীদের সবার আগে গ্রেপ্তার করে বিচারে মুখোমুখি করা। শিশু-যুবক-কৃষক-শ্রমিকদের রক্তের ওপর এ সরকার গঠিত হয়েছে। এ সরকারের দায়িত্ব জনগণের আহারের নিশ্চয়তা দেওয়া।
আনাসের চিঠি পড়ে আপ্লুত হয়ে রিজভী বলেন, ‘আমার মনে হয়েছে, এই বাচ্চারা এত উদ্দীপ্ত দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য, একটা মহান কিছু আবিষ্কারের জন্য, আদায়ের জন্য। এই বয়সে যে তাদের এমন সংকল্প হতে পারে, এই চিঠিতে আমি তা পেয়েছি। এই চিঠি পড়ার পর আমাদের জীবনকে মনে হয়েছে তুচ্ছ, এই আত্মদানকারী বীর শহীদেরা যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে, আমার মনে হয়েছে, তাদের কাছে আমরা তুচ্ছ—আমরা ম্লান হয়ে গেছি।’
ছাত্র-জনতার রক্তের ওপর দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, এটাই সরকারকে বুঝতে হবে। কেন আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থার প্রেসক্রিপশনে সাবান, গুঁড়া দুধ ও ওষুধের দাম বাড়বে? কেন সেগুলোর ওপর ভ্যাট বাড়ানো হবে? এটার জন্যই কি আনাস, জুনায়েদরা রক্ত দিয়েছে?
রিজভী বলেন, এখনো ৫১ শতাংশ শিক্ষার্থী তাদের বই পায়নি। আবার দেখা গেছে, প্রিন্টিং মিসটেক, এর জন্য কে দায়ী? এর জন্য দায়ী যাঁরা মুদ্রণের সঙ্গে জড়িত, আর সেই ব্যক্তি হচ্ছেন শেখ হাসিনার একজন ঘনিষ্ঠ দোসর।
‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর আহ্বায়ক আতিকুর রহমান ও সদস্যসচিব মোকছেদুল মোমিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সংগঠনের উপদেষ্টা আশরাফ বকুল, বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, সদস্য হামিদুর রহমান হামিদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।