অবিলম্বে মামুনুল হকের মুক্তি চেয়েছে শিবিরসহ ১০ ছাত্রসংগঠন
হেফাজতে ইসলামীর সাবেক নেতা মাওলানা মামুনুল হকসহ বিভিন্ন দলের গ্রেপ্তার থাকা নেতাদের অবিলম্বে মুক্তি দাবি করেছে ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ ১০টি ছাত্রসংগঠন। তারা বলেছে, জামিন পাওয়া দেশের প্রত্যেক নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার। একজন জ্যেষ্ঠ নাগরিককে জামিন না দিয়ে বছরের পর বছর জেলে আটকে রাখা দেশে বিচারহীনতার প্রমাণ। বিচারহীনতার এই ধারাবাহিকতা আর চলতে দেওয়া যায় না।
আজ সোমবার এক যৌথ বিবৃতিতে ১০ ছাত্রসংগঠন বলেছে, মামুনুল হক বিশিষ্ট আলেম ও রাজনীতিক। ২০২১ সালের ১৮ এপ্রিল তাঁকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। সরকারি সংস্থার মাধ্যমে নাটক সাজিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যা গ্রেপ্তারের ঘটনাপ্রবাহেই প্রকাশ পায়। এরপর তাঁর প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসা ‘জামিয়াতুত তারবিয়া’কে ভয়ভীতি দেখিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
বিবৃতিতে মামুনুল হক হাদিসের সর্বোচ্চ গ্রন্থ বুখারি শরিফের শিক্ষক ও জনপ্রিয় আলোচক উল্লেখ করে ছাত্রসংগঠনগুলো বলেছে, রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে একজন শিক্ষককে কোণঠাসা করার প্রক্রিয়া দেখে ছাত্রসমাজ উদ্বিগ্ন।
বিবৃতিতে হুঁশিয়ারি জানিয়ে ছাত্রসংগঠনগুলো বলেছে, ‘আমরা অতি দ্রুত মামুনুল হকের মুক্তি চাই। অন্যথায় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে তাঁকে মুক্ত করে আনব ইনশা আল্লাহ।’
বিবৃতি দেওয়া ১০ ছাত্রসংগঠন হলো, ইসলামী ছাত্রশিবির, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ, ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ, জাগপা ছাত্রলীগ, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক ছাত্র আন্দোলন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসমাজ, জাতীয় ছাত্রসমাজ (কাজী জাফর), বাংলাদেশ ছাত্র মিশন ও বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিস।
এর আগে গতকাল রোববার বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস পুরানা পল্টনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ঈদের আগেই দলের মহাসচিব মামুনুল হকের মুক্তির দাবি করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের আমির আল্লামা ইসমাঈল নুরপুরী বলেন, গ্রেপ্তারের পর মামুনুল হকের নামে ধারাবাহিকভাবে ৩০টি নতুন মামলা দেওয়া হয়েছে। আগের মামলাসহ মোট ৪১টি মামলা তাঁকে মোকাবিলা করতে হচ্ছে। মামলার এজাহার পড়লেই বোঝা যায়, প্রতিটি মামলাই ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও সাজানো। এসব মামলা জামিনযোগ্য হওয়া সত্ত্বেও জামিনে গড়িমসি করা হচ্ছে। একজন দাগি আসামির মতো তাঁকে হাতকড়া, মাথায় হেলমেট ও বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরিয়ে আদালতে আনা-নেওয়া করানো হয়, যা অত্যন্ত বেদনাদায়ক।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ ও যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।