খুলনা শহরের ভোটকেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ভোটারদের উপস্থিতি খুব একটা দেখা না গেলেও শহরতলি এলাকাগুলোতে ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে। দেয়ানা, উত্তরপাড়া ও বীণাপাণি এলাকায় সকাল থেকেই ভোটারদের সরব উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে।
বেলা একটায় দেয়ানা এলাকার চারটি কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, নারী ও পুরুষ ভোটারদের পৃথক কেন্দ্রে উপচে পড়া ভিড়। প্রচণ্ড গরমের মধ্যেও ভোটাররা লাইনে এসে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন।
উত্তর দেয়ানা এলাকার দেয়ানা মহিলা দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মোস্তফা আনোয়ার প্রথম আলোকে বলেন, সকালে ভোটারদের বেশি চাপ ছিল। বেলা বাড়ার পর কিছুটা কমেছে।
প্রিসাইডিং কর্মকর্তা প্রথম আলোর কাছে যখন এ মন্তব্য করেছিলেন, তখনো ওই কেন্দ্রের প্রতিটি ভোটকক্ষের সামনে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল। এমনকি কেন্দ্রের সামনেও ভোটারদের উপস্থিতি দেখা গেছে। কেন্দ্রটি খুলনা সিটি করপোরেশন ৪ নম্বর ওয়ার্ডে পড়েছে।
এই কেন্দ্রে মোট ভোটার ২ হাজার ২২৭ জন। বেলা সোয়া ১টা পর্যন্ত কেন্দ্রটিতে ১ হাজার ১৪৪ ভোট পড়েছে। ভোটের হার ৫১ দশমিক ৩৭।
এই কেন্দ্রের পাশেই দেয়ানা উত্তরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রটি অবস্থিত। এখানে ভোটারসংখ্যা ২ হাজার ২৬৮। বেলা ১টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে প্রায় ৪৩ শতাংশ।
একই এলাকায় দেয়ানা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ২ হাজার ৮৬ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৮৬৪ জন। ভোটের হার প্রায় ৪২।
এ ছাড়া খুলনা সিটি করপোরেশন ৩, ৫ ও ১১ নম্বর ওয়ার্ডে ঘুরে ভোটারদের সরব উপস্থিতি দেখা গেছে।
স্থানীয় ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শহরতলির এসব এলাকায় বাসিন্দারা ভোটের সময় সরব থাকেন। পরিস্থিতি যেমনই থাকুক, তাঁরা কেন্দ্রে এসে ভোট দেন। কেন্দ্রে সরব হওয়ার অন্যতম কারণ কাউন্সিলরের ভোট। এসব এলাকায় প্রতিটি ওয়ার্ডে একাধিক প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী ও অর্থবিত্তের মালিক, এমন ব্যক্তিরাও রয়েছেন।