পিটিয়ে হত্যাকারীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে: গণসংহতি আন্দোলন

পিটিয়ে মানুষ হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে গণসংহতি আন্দোলন। পিটিয়ে হত্যার ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে রাজনৈতিক দলটি বলেছে, হত্যাকারীরা কোনোভাবেই ছাড় পেতে পারে না। নতুন করে এ দেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডকে বরদাশত করা হবে না।

আজ বৃহস্পতিবার গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান এক যৌথ বিবৃতিতে এসব কথা বলেন। গত কয়েক দিনে দেশে ছয়জনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে গণসংহতি আন্দোলন বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে একজনকে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলে একজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও আবাসিক শিক্ষককে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়ে বিচারের আওতায় আনতে হবে। এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে দ্রুততম সময়ের মধ্যে জড়িতদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হলে ‘মব লিঞ্চিং’ (সহিংসতার একটি রূপ। বিচারের নামে উচ্ছৃঙ্খল জনতা যখন নিজের হাতে আইন তুলে নিয়ে কোনো ব্যক্তিকে নির্যাতন বা হত্যা করে) ঘটতে দেওয়া যাবে না উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, এটা সবাইকে বুঝিয়ে দেওয়া জরুরি যে গণ–অভ্যুত্থানের পরবর্তী সময়ে রূপান্তর ও মেরামতের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্র একটা গণতান্ত্রিক দেশের দিকেই যাত্রা করবে। সেখানে যেমন অপরাধপ্রবণতা কমে সুশাসন নিশ্চিত হবে, তেমনি রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড থাকবে না।