ছাত্রলীগের সম্মেলন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

ছাত্রলীগের সম্মেলন উপলক্ষে আজ সকাল থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জড়ো হতে থাকেন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
ছবি: শুভ্র কান্তি দাশ

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় সম্মেলন উদ্বোধন করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই সম্মেলন উদ্বোধন করেন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক অভিভাবক শেখ হাসিনা।

সম্মেলনের পর ঘোষণা করা হবে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নতুন নেতৃত্ব। পাশাপাশি ঘোষণা করা হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ শাখার নতুন কমিটি।

আরও পড়ুন

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই পদ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ২৫৪ জন। তাঁদের মধ্যে ৯৬ জন সভাপতি ও ১৫৮ জন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী।

সম্মেলন উপলক্ষে সকাল থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জড়ো হতে থাকেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

হাজারো নেতা-কর্মী মিছিল নিয়ে সম্মেলনস্থলে আসেন। একেক শাখার নেতা-কর্মীরা একেক রঙের টি-শার্ট ও টুপি পরেছেন।

ছাত্রলীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। আজ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশপাশের এলাকায় চলাচলের ক্ষেত্রে নগরবাসীকে ভিন্ন রাস্তা ব্যবহার করার অনুরোধ জানিয়েছে পুলিশ।

আরও পড়ুন

আজকের সম্মেলনের মাধ্যমে বিদায় নিতে যাচ্ছে আল নাহিয়ান খান ও লেখক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বাধীন কমিটি।

২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হন নাহিয়ান, সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য। সাড়ে তিন মাস পর তাঁরা ‘ভারমুক্ত’ হন।

ছাত্রলীগের ২৯তম জাতীয় সম্মেলন হয়েছিল ২০১৮ সালের মে মাসে। একই বছরের ৩১ জুলাই রেজওয়ানুল হক চৌধুরীকে সভাপতি ও গোলাম রাব্বানীকে সাধারণ সম্পাদক করে ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়। উন্নয়ন প্রকল্প থেকে চাঁদা দাবিসহ নানা অভিযোগে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে রেজওয়ানুল ও রাব্বানীকে পদচ্যুত করা হয়। বিশেষ পরিস্থিতিতে কমিটির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি নাহিয়ানকে সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও লেখককে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে নাহিয়ান ও লেখককে ‘ভারমুক্ত’ করে দেন সাংগঠনিক অভিভাবক।

আরও পড়ুন