২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

আইএমএফকে ডেকে আনা ভালো লক্ষণ নয়: রেজা কিবরিয়া

নতুন গঠন করা ‘গণতন্ত্র মঞ্চের’ সভায় বক্তারা
ছবি: শুভ্র কান্তি দাশ

দেশ কঠিন সমস্যায় পড়তে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন গণ অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়া। তিনি বলেছেন, ‘আমরা বিরাট একটি অর্থনৈতিক সমস্যায় পড়তে যাচ্ছি। আইএমএফকে ডেকে আনা ভালো লক্ষণ নয়। আমি (রেজা কিবরিয়া) আইএমএফে নিজেও চাকরি করেছি। একটা দেশ সুসময়ে আইএমএফকে ডাকে না। নিশ্চয় অনেক বড় বিপদে দেশ চলে যাচ্ছে।’

রাজধানীর রিপোর্টার্স ইউনিটে আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সাত–দলীয় জোটের ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’ আত্মপ্রকাশ করেছে। এই অনুষ্ঠানে কথাগুলো বলেন রেজা কিবরিয়া। এই জোটভুক্ত দলগুলো হলো জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), নাগরিক ঐক্য, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, গণ অধিকার পরিষদ, ভাসানী অনুসারী পরিষদ ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন।

অনুষ্ঠানে রেজা কিবরিয়া বলেন, সরকার রিজার্ভ, মূল্যস্ফীতি ও জনশুমারি নিয়ে মিথ্যাচার করেছে।

অনুষ্ঠানে জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব গণতন্ত্র মঞ্চের ঘোষণা দিয়ে বলেন, ‘ইতিহাসের অনিবার্য প্রয়োজনে এই মঞ্চ আত্মপ্রকাশ করল। কারণ, সরকার জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন। তারা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো ও ভোটে জালিয়াতি করে ক্ষমতায় টিকে আছে। কোনো ষড়যন্ত্র নয়, আমরা ওপেন (প্রকাশ্যে) ঘোষণা দিচ্ছি, তোমাদের (সরকার) ক্ষমতা ছেড়ে দিতে হবে।’

অনুষ্ঠানে গণতন্ত্র মঞ্চের রূপরেখা তুলে ধরেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, সব ক্ষেত্রে দুর্নীতি-লুণ্ঠন চরম সীমায় পৌঁছেছে। হাজার কোটি টাকা লুণ্ঠন, আগে যা কল্পনারও অতীত ছিল, বর্তমান সরকারের আমলে তা মামুলি বিষয়ে পরিণত হয়েছে। গুম, খুন, হামলা, মামলার মাধ্যমে দমন-পীড়ন স্বাভাবিক বিষয়ে পরিণত হয়েছে। তিনি জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে গতকাল রোববার সন্ধ্যায় শাহবাগে বাম ছাত্রসংগঠনগুলোর কর্মসূচিতে পুলিশি হামলার নিন্দা জানান।

রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত কাউয়ূম বলেন, তাঁরা শুধু সরকারের ‘কর্তৃত্ববাদী’ আচরণের প্রতিবাদই করবেন না, বরং আগামী দিনে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে পরবর্তী সরকার ক্ষমতায় এসে যেন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কার করে, সে জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করবেন।

গণ অধিকার পরিষদের সদস্যসচিব নুরুল হকের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম, গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল। গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বক্তব্য না দিলেও মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ১১ আগস্ট রাজধানীতে গণতন্ত্র মঞ্চের বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তবে কর্মসূচি কোথায় পালন করা হবে, তা আগামীকাল মঙ্গলবার জানানো হবে বলে জানানো হয়।