ওবায়দুল কাদের মাইন্ড করেন কেন? প্রশ্ন জি এম কাদেরের
সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের কথা বললে কেন আওয়ামী লীগের নেতাদের ‘খারাপ লাগে’, সে প্রশ্ন তুলেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের। তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের একটি বক্তব্য ‘ক্ষমতায় বসাবে দেশের মানুষ, বিদেশিরা নয়’—এর উল্লেখ করে বলেছেন, বিদেশিরা কি কাউকে ক্ষমতায় বসাতে বলেছেন?
আজ মঙ্গলবার বিকেলে মোহাম্মদপুরের রিং রোডের একটি কমিউনিটি সেন্টারে মোহাম্মদপুর থানা জাপার দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জি এম কাদের এ প্রশ্ন তোলেন।
জি এম কাদের বলেন, ‘তারা (বিদেশিরা) বলেছে দেশে যেন একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়। দেশের মানুষ যাকে চাইবে, সে–ই ক্ষমতায় যাবে। এমন কথায় ওবায়দুল কাদের সাহেব মাইন্ড করেন কেন? কেন আপনাদের খারাপ লাগে? তার মানে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন আপনারা চান না। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে ক্ষমতার পালাবদল হবে—এটা মনে করছেন তিনি।’
জাপার চেয়ারম্যান ও সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতা বলেন, বর্তমান পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে সরকার যাকে চাইবে, সে–ই নির্বাচিত হবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকারের সদিচ্ছার দরকার। দেশের নির্বাচনব্যবস্থা পক্ষাঘাতগ্রস্ত। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনারদের শ্রদ্ধা করি। কিন্তু নির্বাচন কমিশনাররা হচ্ছেন বিকলাঙ্গ। তাঁদের কাজ করার শক্তি নেই।’
গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে জি এম কাদের বলেন, গাইবান্ধায় কারচুপির জন্য নির্বাচন বন্ধ করে দিয়েছেন। তদন্তে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করা হয়েছে। দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বরং অভিযুক্ত ব্যক্তিদের পুরস্কৃত করা হয়েছে। সরকারদলীয় প্রার্থীদের জন্য যারা কারচুপি করেছে, তাদের তো শাস্তি দেবে না সরকার।
জি এম কাদের বলেন, ১৯৯১ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার দাবিতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি—দুই দলই আন্দোলন করেছিল। আসলে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি শুধু ক্ষমতার জন্য লড়াই করে। ক্ষমতায় গেলেই সংবিধানের কথা বলে, আর ক্ষমতার বাইরে গেলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি তোলে।
জি এম কাদের বলেন, ‘আমরা সরকারের আওতার বাইরে নির্বাচন চাই। আমরা একটি ভালো নির্বাচন চাই। প্রয়োজনে সব দল মিলেই সিদ্ধান্ত নেব। নির্বাচনে আমরা জনগণের রায় দেখতে চাই। এতে জনগণের কাছে সরকারের জবাবদিহি নিশ্চিত হবে।’
সম্মেলনে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক, প্রেসিডিয়াম সদস্য শফিকুল ইসলাম, রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া প্রমুখ বক্তব্য দেন।