আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ১২–দলীয় জোটের নেতারা। তাঁরা বলেছেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম না কমালে রমজান মাসেও আন্দোলন চলবে।
রোববার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে জোটের নেতারা এসব কথা বলেন। ‘ভারতীয় আগ্রাসন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদ, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দীর মুক্তি, সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন’ শীর্ষক এ সমাবেশের আয়োজন করে ১২–দলীয় জোট। সমাবেশ শেষে প্রেসক্লাবের সামনে থেকে মিছিল বের করেন জোটের নেতা–কর্মীরা।
জাতীয় পার্টির (জাফর) মহাসচিব আহসান হাবিব অভিযোগ করেন, প্রতিবেশী দেশের আগ্রাসনে বাংলাদেশের চিনি ও চামড়াশিল্পের মতো বৃহৎ শিল্প ধ্বংস হয়ে গেছে। পোশাকশিল্প ধ্বংস হওয়ার উপক্রম।
সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকদের গুলি চালিয়ে হত্যা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা।
সমাবেশে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি মহিউদ্দিন ইকরাম বলেন, নিত্যপণ্যের দাম না কমালে রমজান মাসেও আন্দোলন চলবে, ঠেকানো যাবে না। ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচন বাতিল করে নতুন নির্বাচন দিতে হবে।
গত ৭ জানুয়ারি ‘পাতানো’ নির্বাচনে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসেছে অভিযোগ করে লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ফারুক রহমান বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও ভোটাধিকার ফেরাতে আন্দোলন চলছে এবং চলবে।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা হবে।
জাতীয় ছাত্র সমাজের সভাপতি কাজী ফয়েজের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সিনিয়র সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, কল্যাণ পার্টির (একাংশ) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. শামসুদ্দিন পারভেজ প্রমুখ।