আগামী ১০০ দিন রাষ্ট্র পাহারা দিন: তথ্যমন্ত্রী

বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ পুত্র শহীদ শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মদিন আগামীকাল ১৮ অক্টোবর। দিবসটি উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আজ এক আলোচনা সভার আয়োজন করে
ছবি: তথ্য মন্ত্রণালয়

আগামী ১০০ দিন রাষ্ট্র পাহারা দিতে অনুরোধ জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী এবং সংস্কৃতিকর্মীদের প্রতি এ অনুরোধ জানান।

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘আমি আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের অনুরোধ জানাই, সংস্কৃতিকর্মীদেরও অনুরোধ জানাই, আগামী ১০০ দিন রাষ্ট্র পাহারা দিতে হবে। কারণ, বিএনপি দেশটাকে বিশ্ববেনিয়াদের হাতে তুলে দিতে চাইছে। ক্ষমতা পাহারা দিতে হবে না, ক্ষমতার পাহারাদার জনগণ কিন্তু রাষ্ট্র পাহারা দিতে হবে।’

বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ পুত্র শহীদ শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মদিন আগামীকাল ১৮ অক্টোবর। দিবসটি উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট এক আলোচনা সভার আয়োজন করে। সেখানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সমসাময়িক প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।

সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে দেশকে নিয়ে একটা ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। বিএনপি-জামায়াত বিশ্ববেনিয়াদের হাতে দেশটাকে তুলে দিতে চায়। তাদের লক্ষ্য ক্ষমতায় যাওয়া নয়। কারণ, তারা জানে নির্বাচন হলে তাদের পক্ষে ক্ষমতায় যাওয়া সম্ভব নয়। আর তারা যে পানিটা ঘোলা করার চেষ্টা করছে, সেখানে তারা নয়, মাছ শিকার করবে অন্যরা, সেটিও তারা জানে। তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে বিদায় করা আর বিশ্ববেনিয়াদের হাতে দেশ ও দেশের সম্পদ তুলে দেওয়া। আর বিশ্ববেনিয়ারা শকুনের মতো তাকিয়ে আছে। সুতরাং সেই সুযোগ দেওয়া যাবে না।’

বিএনপির নেতা–কর্মীদের উদ্দেশে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ফখরুল সাহেবদের অনুরোধ জানাব, আপনারা খালেদা জিয়া, তারেক রহমানের লাঠিয়াল বাহিনীর সরদার হিসেবে কাজ করবেন না, রাজনীতিবিদ হিসেবে কাজ করুন, দেশের স্বার্থে কাজ করুন, তাহলে দেশ উপকৃত হবে।’

এ সময় বিশৃঙ্খলার অপচেষ্টার বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘দেশে একটি সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ নির্বাচন করার জন্য আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, যেখানে দেশের মানুষ ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করবে। আশা করব, বিএনপিও সেখানে অংশগ্রহণ করবে এবং তারা তাদের জনপ্রিয়তা যাচাই করবে। রাজপথে দাঁড়িয়ে সরকারকে হুংকার দেবেন না।’

এর আগে শহীদ শেখ রাসেলের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন,  ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের সঙ্গে সবশেষে ১০ বছরের শিশু শেখ রাসেলকে হত্যা করা হয়। তিনি যদি বেঁচে থাকতেন, আজকে জাতীয় জীবনে অনেক কিছু দিতে পারতেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে বঙ্গবন্ধুকন্যার সহযাত্রী হতে পারতেন।

বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কার্যকরী সভাপতি কণ্ঠশিল্পী মো. রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানার সঞ্চালনায় সভায় আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য বলরাম পোদ্দার, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের একুশে পদকপ্রাপ্ত শিল্পী অরূপ রতন চৌধুরী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহসভাপতি মানিক লাল ঘোষ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট নেতা কণ্ঠশিল্পী এস ডি রুবেল, সাংবাদিক রেদোয়ান খন্দকার, মুহাম্মদ রোকন উদ্দিন পাঠান প্রমুখ বক্তব্য দেন।