সাঈদ খোকন ও তাঁর স্ত্রীর সম্পদ ২৩৮ কোটি টাকার

সাঈদ খোকন

ঢাকা-৬ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাঈদ খোকন ও তাঁর স্ত্রীর স্থাবর–অস্থাবর সম্পদ রয়েছে প্রায় ২৩৮ কোটি টাকার। গত ৮ বছরে সাঈদ খোকনের আয় ও সম্পদ বেড়েছে ২৭ গুণের বেশি।

সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন ২০১৫ সালের সিটি নির্বাচনের সময় এবং এবার দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে হলফনামার মাধ্যমে আয় ও সম্পদের হিসাব জমা দেন। উভয় হলফনামার তথ্য বিশ্লেষণ করে তাঁর আয় ও সম্পদবৃদ্ধির চিত্র পাওয়া গেছে।

সাঈদ খোকন ২০১৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র ছিলেন। এবার দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে তিনি ঢাকা–৬ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন।

এবারের হলফনামার তথ্য অনুযায়ী, সাঈদ খোকনের নিজের অস্থাবর সম্পদ রয়েছে ৭৭ কোটি ৯২ লাখ টাকার। আর তাঁর স্ত্রীর নামে অস্থাবর সম্পদ রয়েছে ৮৫ কোটি ৩ লাখ টাকার। দুজনের মোট অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ প্রায় ১৬৩ কোটি টাকা। আট বছর আগে এই দম্পতির অস্থাবর সম্পদ ছিল ২৩ কোটি ৮১ লাখ টাকার। দুজনের অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে ১৩৯ কোটি টাকার।

হলফনামায় সাঈদ খোকন নিজের ৭৪ কোটি ৭০ লাখ টাকার এবং তাঁর স্ত্রীর নামে সাড়ে ১১ লাখ টাকার স্থাবর সম্পদ রয়েছে উল্লেখ করেছেন। আট বছর আগের হিসাবে সাঈদ খোকনের স্থাবর সম্পদ ছিল ২৬ কোটি ৯১ লাখ টাকার। ৮ বছরের ব্যবধানে তাঁর স্থাবর সম্পদ বেড়েছে প্রায় ৪৮ কোটি টাকার।

মেয়র হওয়ার আগে সাঈদ খোকনের বার্ষিক আয় ছিল ৪১ লাখ ৭৪ হাজার টাকা। বর্তমানে সেটা ১১ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। হলফনামা অনুযায়ী, ৮ বছরের ব্যবধানে তাঁর আয় বেড়েছে ২৭ গুণের বেশি। এর মধ্যে বাড়িভাড়া থেকে ৬ কোটি ৪০ লাখ এবং বন্ড থেকে ৪ কোটি ৮৯ লাখ টাকা আয় করেন তিনি।

এ ছাড়া ৮ বছর আগে সাঈদ খোকনের দেনা ছিল ১৯ কোটি ২৭ লাখ টাকার। বর্তমানে তাঁর দায় ৯ কোটি ৮৫ লাখ টাকার।