এই নির্বাচনের কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই: জামায়াতে ইসলামী

লোগোটি জামায়াতে ইসলামীর এক্স (সাবেক টুইটার) থেকে নেওয়া

জামায়াতে ইসলামী বলেছে, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে তিন হাজার কোটি টাকা নষ্ট করা ছাড়া জনগণের কোনো কল্যাণ হয়নি। এটি কোনো নির্বাচনই নয়। সোমবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের ভারপ্রাপ্ত আমির মুজিবুর রহমান এ কথা বলেন। তিনি ‘প্রহসনের’ নির্বাচন বাতিল করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের নতুন তারিখ ঘোষণার দাবি জানান।

মুজিবুর রহমান বলেন, ২৮ অক্টোবর থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত জামায়াতে ইসলামীসহ বিরোধী দলের ৩৫ হাজার নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। মাত্র দুই মাসের মধ্যে ৬২টি মামলায় ১৬ শতাধিক নেতা-কর্মীকে ফরমায়েশি রায়ের মাধ্যমে সাজা দেওয়া হয়। সরকারের পরিকল্পনা ছিল জনগণকে দমিয়ে রেখে জাল ভোট দিয়ে এবং দলীয় লোকদের দ্বারা ভোটকেন্দ্রে ভিড় জমিয়ে ভোটার উপস্থিতির মহানাটক মঞ্চস্থ করা। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ সাহসিকতা ও দৃঢ়তার সঙ্গে সরকারের হুমকি-ধমকি অগ্রাহ্য করে প্রহসনের ভোট বর্জন করে সব ষড়যন্ত্র বানচাল করে দিয়েছে।

জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির বলেন, জনগণ কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত এই নির্বাচনের কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই। নির্বাচনের কিছু ঘটনার চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, বেলা ১১টা পর্যন্ত দলীয় দু-একজন লোক ছাড়া ভোটকেন্দ্রে কাউকে দেখা যায়নি। সাত বছরের শিশুকে দিয়েও ভোট দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। বহু কেন্দ্রে আনসার সদস্যদের ভোট দিতে দেখা গেছে। অনেক আসনে ভোট গণনার আগেই রেজাল্ট সিট প্রস্তুত করা হয়েছে। ভোটকেন্দ্রে টাকা দিয়ে ভাড়াটে এনে লাইনে দাঁড় করানো হয়েছে এবং টাকা লেনদেনের দৃশ্য গণমাধ্যমের ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। শাসকদলীয় লোকেরা নির্বিঘ্নে গণহারে জাল ভোট দিয়েছে। বুথের বাইরে জনসমক্ষে সিল মারার ঘটনা দেখা গেছে।

সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে যে কর্মসূচি ঘোষণা হবে, তা শান্তিপূর্ণভাবে সফল করার আহ্বান জানান।

পরে এক বিবৃতিতে দলের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি এ টি এম মা’ছুম ৯ ও ১০ জানুয়ারি দেশব্যাপী গণসংযোগ ও প্রচারপত্র বিতরণ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এরই মধ্যে দলের পক্ষ থেকে ‘প্রহসনের নির্বাচন বাতিল করে অবিলম্বে কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচনের নতুন তারিখ ঘোষণা করতে হবে’ শিরোনামে একটি প্রচারপত্র তৈরি করা হয়েছে।