বিডিআর বিদ্রোহের দিনে খালেদা জিয়ার গতিবিধি ছিল সন্দেহজনক: হানিফ
পিলখানায় বিডিআর (বর্তমান নাম বিজিবি) বিদ্রোহ ও নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শহীদ সেনাদের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। আজ শনিবার সকালে বনানীর সামরিক কবরস্থানে আসেন আওয়ামী লীগের নেতারা। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য মাহবুব উল আলম হানিফ শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন।
শ্রদ্ধা নিবেদনের পরে মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, এটা সরকারকে উৎখাত ও সরকারের ওপর আঘাতের ষড়যন্ত্র ছিল। এ ঘটনার দিন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আচরণ ও গতিবিধি ছিল সন্দেহজনক। তিনি সচরাচর ঘুম থেকে উঠেন না। কিন্তু সেদিন তাহলে ঘুম থেকে উঠে গাড়িতে করে দুইদিনের জন্য কোথায় যেন চলে যান। এটা ছিল আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্র।
মাহবুব উল আলম হানিফ আরও বলেন, ‘আমরা আশাকরি এ বছরের মধ্যেই এ হত্যা মামলার চূড়ান্ত রায় পাওয়া যাবে।’
মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহে সেনা কর্মকর্তা হত্যাকাণ্ডের মামলার চূড়ান্ত রায় কার্যকরের অপেক্ষায় রয়েছে। আমরা আশাকরি এ বছরের মধ্যেই এ হত্যা মামলার চূড়ান্ত রায় পাওয়া যাবে।’
আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করতেই গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে অনেকে মনে করেন তিনি।
আজ থেকে ১৪ বছর আগে ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিডিআরের (বর্তমান নাম বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি) সদর দপ্তর পিলখানাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিদ্রোহ হয়। পিলখানায় নির্মম হত্যাযজ্ঞের শিকার হন বিডিআরের তৎকালীন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদসহ ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা। মোট নিহত হন ৭৪ জন। দুই দিনব্যাপী ওই বিদ্রোহে নিষ্ঠুর আচরণ ও পাশবিক নির্যাতনের শিকার হন বিডিআরের বিভিন্ন পর্যায়ে দায়িত্ব পালনরত অনেক কর্মকর্তা ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা।
পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহ ও নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা দুই মামলার একটি (হত্যা মামলা) এখন আপিল বিভাগে শুনানির অপেক্ষায় আছে। অপর মামলাটি (বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে করা) বিচার শেষ হয়নি। এখনো মামলাটি বিচারিক আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে।