নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ এলাকায় ইন্টারনেট সংযোগ ‘পাওয়া যাচ্ছে না’
রাজধানীর নয়াপল্টন এলাকায় মুঠোফোনে ইন্টারনেট সংযোগ পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা।
মানুষের ‘ভোটাধিকার’ আদায়ের লক্ষ্যে আজ বুধবার বেলা দুইটায় নয়াপল্টনে সমাবেশের মাধ্যমে সরকার পতনের এক দফার চূড়ান্ত আন্দোলনের ঘোষণা দেবে বিএনপি।
সমাবেশে অংশ নিতে ইতিমধ্যে নয়াপল্টনে বিএনপির হাজারো নেতা-কর্মী জড়ো হয়েছেন। নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের দুই পাশের সড়কে বিএনপির নেতা-কর্মীরা জড়ো হয়েছেন। ফলে এই দুই সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
নয়াপল্টনে অবস্থানরত বিএনপির বেশ কিছু নেতা-কর্মী দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা মুঠোফোনে ইন্টারনেট সংযোগ পাচ্ছেন না। তাই সমাবেশ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছু পোস্ট দিতে পারছেন না।
সংবাদ পাঠাতে গিয়ে এই প্রতিবেদক নয়াপল্টন এলাকায় ইন্টারনেট সংযোগ পাননি। তারপর সেখান থেকে কাকরাইল ক্যাথলিক চার্চসংলগ্ন কাকরাইল মোড়ে গিয়ে ইন্টারনেট সংযোগ পাওয়া যায়।
গাজীপুর থেকে আজ ভোরে সমাবেশে যোগ দিতে রাজধানীর নয়াপল্টনে আসেন গাজীপুর জেলা ছাত্রদলের সাবেক আপ্যায়নবিষয়ক সম্পাদক মো. তাহসিন। তিনি বলেন, ‘এখানে আসার পর থেকে ইন্টারনেট সংযোগ পাচ্ছি না। রমনা এলাকায় গেলে পাওয়া যাচ্ছে। তবে মুঠোফোন শুধু কথা বলা যাচ্ছে।’
এর আগে বিএনপির সমাবেশ ঘিরে বিভিন্ন জায়গায় ইন্টারনেট সেবায় বিঘ্নের ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে টেলিযোগাযোগ খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বিষয়টি নিয়ে আজ একটি মোবাইল অপারেটরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
ডিজিটাল অধিকার নিয়ে কাজ করা সংস্থা অ্যাকসেস নাউয়ের এক প্রতিবেদনে গত মার্চে বলা হয়, ২০২২ সালে বাংলাদেশে কর্তৃপক্ষ ছয়বার ইন্টারনেট শাটডাউন বা বন্ধ করে দিয়েছিল। এদিক দিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে পঞ্চম।
‘নিয়ন্ত্রণের অস্ত্র, দায়মুক্তির ঢাল’ শিরোনামে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া নিয়ে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে অ্যাকসেস নাউ।
অ্যাকসেস নাউ ২০১৬ সাল থেকে বিভিন্ন দেশে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করছে। সবশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর ৩৫টি দেশে ১৮৭ বার ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করা হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বার (৮৪ বার) ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয় ভারতে। তালিকায় এরপর আছে ইউক্রেন (২২ বার), ইরান (১৮ বার), মিয়ানমার (৭ বার) ও বাংলাদেশ (৬ বার)।
অ্যাকসেস নাউ বলেছে, ইন্টারনেট বন্ধের কারণ যা-ই হোক না কেন, তা মানুষের মৌলিক মানবাধিকারের লঙ্ঘন করে।