একসঙ্গে দুজন মেয়রের কপাল পুড়ল। গাজীপুরে জাহাঙ্গীর আলম ও বরিশালে সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাননি। কিন্তু কেন তাঁদের কপাল পুড়ল, এই প্রশ্নে চলছে নানা আলোচনা। অন্যদিকে বদরউদ্দিন আহমদ কামরানের মৃত্যুতে দীর্ঘ ২২ বছর পর সিলেটবাসী আওয়ামী লীগের মেয়র পদে পরিবর্তন দেখলেন।
দলীয় সূত্র বলছে, গাজীপুর ও বরিশালের দুই মেয়রের কপাল পুড়েছে বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে। আর সিলেটে প্রবাসী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর ভাগ্য খুলেছে স্থানীয় শক্তিশালী প্রার্থী না থাকার কারণে। এ ছাড়া সিলেটের যাঁরা লন্ডনে বসবাস করেন এবং আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত থাকেন, তাঁদের দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে একটা ঘনিষ্ঠতা থাকে। আনোয়ারুজ্জামান এই ঘনিষ্ঠতার সুযোগ পেয়েছেন বলেও মনে করেন দলের নেতাদের অনেকে।
তবে ক্ষমতাসীন দলের মেয়র পদে এই তিন পরিবর্তন ভোটের মাঠে কতটা কাজে দেয়, সেটা হয়তো সময়ই বলে দেবে। দলের ভেতরে এরই মধ্যে কিছুটা দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে। গাজীপুর ও সিলেটে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার আভাস মিলছে দলীয় সূত্রে।
এক দশক ধরে কাছাকাছি সময়ে দেশের পাঁচটি সিটি করপোরেশনের ভোট অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এগুলো হচ্ছে গাজীপুর, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট। এর আগে কখনোই একসঙ্গে তিন সিটিতে নতুন প্রার্থী দেয়নি আওয়ামী লীগ। বিশেষ করে মেয়র থাকা অবস্থায় পরবর্তী নির্বাচনে কেউ বাদ পড়েননি।
কেন এবার এত পরিবর্তন আনা হলো? এই প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের একাধিক নীতিনির্ধারক বলছেন, বিএনপি সিটি করপোরেশনের ভোটে অংশ নেবে না—এটা প্রায় নিশ্চিত। ফলে আওয়ামী লীগকে প্রার্থী পরিবর্তনে খুব একটা ভাবতে হয়নি। যদিও শক্ত প্রতিপক্ষ ছাড়া এই নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ের পর দলের ভেতরে কিছুটা দ্বন্দ্ব দেখা দিতে পারে, এমন আশঙ্কা ছিল। এ ছাড়া জাতীয় নির্বাচনের আগে এবারের সিটি নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করার বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সে জন্য দলের প্রতীকের পাশাপাশি প্রার্থীর ভাবমূর্তি ও যোগ্যতা বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।
মনোনয়ন বোর্ডের একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, গাজীপুর, বরিশাল ও সিলেটে যাঁদের প্রার্থী করা হয়েছে, তাঁদের বিষয়ে কোনো বিতর্ক নেই। কেউ তাঁদের খারাপ প্রার্থী বলতে পারবে না। অন্যদিকে রাজশাহীতে এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন ও খুলনায় তালুকদার আবদুল খালেকও মেয়র হিসেবে অনেক কাজের প্রশংসা পেয়েছেন।
বৈঠক সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে বলেছেনও, প্রার্থীদের নিজের যোগ্যতায় বিজয়ী হয়ে আসতে হবে। দল কাজ করবে। তবে কেউ সরকারি সুবিধা নিয়ে নির্বাচিত হবেন, এমন ভাবলে ভুল করবেন।
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের একজন সদস্য বলেন, সিটি নির্বাচনকে ঘিরে কোনোভাবেই যাতে বিরোধী দল ইস্যু তৈরি না করতে পারে, সেই চেষ্টা থাকবে আওয়ামী লীগের। দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ভোটের নজির সৃষ্টির লক্ষ্য আওয়ামী লীগের।
দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মনোনয়ন বোর্ডের সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘জনগণের ভোটে অংশগ্রহণ ও উৎসাহ সৃষ্টি আমাদের লক্ষ্য।
তাই নির্বাচনে যাদের জনগণ সবচেয়ে কাছের বা পছন্দের মূল্যায়ন করতে পারবে বলে মনে হয়েছে, তাদেরই মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ সেরা প্রার্থীকেই দলের মনোনয়ন দিয়েছে।’
জাহাঙ্গীর ইস্যুতে পুরো দল বিভক্ত
২০১৩ সালে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচনে মেয়র পদে জাহাঙ্গীর আলমের প্রার্থিতা ঘোষণা তখনকার সময়ের আলোচিত ঘটনা। সে সময় টঙ্গী পৌরসভার তৎকালীন একাধিকবারের মেয়র আজমত উল্লা খানের মতো পোড় খাওয়া নেতাকে বাদ দিয়ে জাহাঙ্গীরকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার সাহস করেনি আওয়ামী লীগ। কিন্তু ২০১৩ সালে মনোনয়ন না পেলেও জাহাঙ্গীর আলম গাজীপুর ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে একটা অংশের আশীর্বাদ পেতে শুরু করেন।
২০১৩ সালে আজমত উল্লা খান বিএনপির এম এ মান্নানের কাছে হেরে গেলে জাহাঙ্গীরের জন্য মাঠ দখল সহজ হয়ে পড়ে। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের আশীর্বাদও ছিল তাঁর ওপর। ২০১৫ সালে তিনি গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হয়ে যান। আজমত উল্লা হন সভাপতি। ২০১৮ সালের নির্বাচনে আজমত উল্লা আর দলীয় মনোনয়ন পাননি। জাহাঙ্গীর আলম দলীয় মনোনয়ন পেয়ে জয়ী হন।
২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে গোপনে ধারণ করা মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের কথোপকথনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। তাতে তাঁকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও গাজীপুর জেলার কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করতে শোনা যায়। স্থানীয় আওয়ামী লীগ প্রতিবাদমুখর হয়ে ওঠে। এরপর কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ জাহাঙ্গীর আলমকে বহিষ্কার করে। মেয়র পদ থেকেও তিনি সাময়িক বরখাস্ত হন। এ অবস্থাতেই এবার পুনরায় গাজীপুরে নির্বাচন ঘোষণা করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্র বলছে, শুরু থেকেই আওয়ামী লীগের একটা অংশ মনে করত যে জাহাঙ্গীর আলম টাকার জোরে অল্প সময়ে দলের অনেক কিছু পেয়ে গেছেন। তাই তাঁকে থামানো দরকার। আরেকটা অংশ মনে করতে থাকে যে গাজীপুরে জাহাঙ্গীর সবচেয়ে জনপ্রিয়। এ অবস্থায় জনপ্রিয় ব্যক্তিকে রাজনীতিতে উঠে আসার এবং জনপ্রতিনিধি হওয়ার সুযোগ দেওয়া উচিত।
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সূত্র বলছে, এবার সুষ্ঠু ভোট, বিতর্কমুক্ত প্রার্থী—এই বিবেচনায় জাহাঙ্গীর বাদ পড়ে গেছেন। স্বচ্ছ ভাবমূর্তির আজমত উল্লা খান মনোনয়ন পেয়েছেন।
অবশ্য এখানে সমস্য একটা রয়েই গেছে। গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দল আজমত উল্লার নিয়ন্ত্রণে বলা যায়। কিন্তু সিটি করপোরেশনের ৭৬ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ৬১ জন জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষে লিখিত দিয়েছেন। ফলে জাহাঙ্গীর দলের সিদ্ধান্তের বাইরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে ভোটের ফল কী হবে, সেটা নিয়েই ভাবছেন আওয়ামী লীগের নেতারা।
মনোনয়নের লড়াইয়ে বরিশালে চাচা জয়ী
বরিশালে চাচা-ভাতিজার লড়াইয়ে দলের সমর্থন গেছে আবুল খায়ের আবদুল্লাহর ওপর। তাঁর ভাতিজা ও বর্তমান মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ বাদ পড়েছেন।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই বরিশাল সিটি নির্বাচনের প্রার্থিতা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। শুরুর দিকে আলোচিত প্রার্থী না থাকায় বর্তমান মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ আবারও নৌকার কান্ডারি হচ্ছেন—এমন কথা শোনা যাচ্ছিল। এ ছাড়া কেন্দ্র, বরিশাল নগর ও জেলা আওয়ামী লীগে আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর প্রভাব রয়েছে। ফলে তাঁর ছেলে সাদিক আবদুল্লাহর সম্ভাবনাই বেশি আলোচিত ছিল।
কিন্তু আবুল খায়ের আবদুল্লাহ প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা দেওয়ায় আলোচনায় ভিন্ন মোড় নেয়। তখনই বর্তমান মেয়রের বিতর্কিত কর্মকাণ্ডগুলো আবারও আলোচনায় আসে। বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বাসভবনে হামলার ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের বিবাদ, ভোট দিতে গিয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে বাদানুবাদের ঘটনা, স্থানীয় মন্ত্রীর সঙ্গে বিভেদসহ নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ড সামনে আসে।
বরিশালে সাদিক আবদুল্লাহকে বাদ দেওয়া বিষয়ে মনোনয়ন বোর্ডের একজন সদস্য বলেন, বরিশালের মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে বর্তমান মেয়রের পাঁচ বছরের আমলনামাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সাদিক আবদুল্লাহর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ পাওয়া গেছে। জরিপেও এলাকায় তাঁর অবস্থার ভালো চিত্র পাওয়া যায়নি। সব মিলিয়ে দলের হাইকমান্ড তাঁর ওপর ক্ষুব্ধ হওয়ায় চাচা আবুল খায়ের আবদুল্লাহ ওরফে খোকন সেরনিয়াবাতকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
আরেকজন নেতা বলেন, আবুল খায়ের আবদুল্লাহকে মনোনয়ন দেওয়ার পেছনে পারিবারিক ‘সহানুভূতি’ কাজ করেছে। কারণ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাগনে হিসেবে আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর পরিবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় রাজনীতিতে দীর্ঘদিন প্রভাব বিস্তার করে আসছে। তাঁর ভাই হয়েও আবুল খায়ের আবদুল্লাহর তেমন কোনো পদ-পদবি নেই। এ জন্য পরিবারের সদস্য হিসেবে এবার তিনি শীর্ষ নেতৃত্বের সহানুভূতি পেয়েছেন।
বৈঠকে উপস্থিত সূত্র জানায়, বরিশালের প্রার্থী ঠিক করার প্রশ্নেই আলোচনা হয়েছে বেশি। সে সময় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বর্তমান মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর বাবা ও মনোনয়ন বোর্ডের সদস্য আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ। তবে তিনি তেমন কিছুই বলেননি।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বোন আমেনা বেগম ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী আবদুর রব সেরনিয়াবাত দম্পতির ছোট ছেলে আবুল খায়ের আবদুল্লাহ (খোকন সেরনিয়াবাত)। আবদুর রব সেরনিয়াবাত ’৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিহত হন। ওই রাতে আবুল খায়ের আবদুল্লাহর দুই পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছিল। তবে বড় ভাই আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ রাজনীতিতে সক্রিয় হলেও আবুল খায়ের আবদুল্লাহ রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন না। কয়েক বছর দেশের বাইরে এবং খুলনায় নিজের ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়েই অনেকটা নিভৃতে ছিলেন। এর আগে অনুষ্ঠিত নির্বাচনেও মনোনয়ন ফরম কিনেছিলেন আবুল খায়ের আবদুল্লাহ। তবে সেখানে মনোনয়ন পেয়েছিলেন ভাতিজা সাদিক আবদুল্লাহ। এবার ভাতিজার পরিবর্তে চাচা আবুল খায়ের আবদুল্লাহ পেলেন মনোনয়ন।
সিলেটে ‘প্রবাসী’ প্রার্থী
করোনা মহামারির সময় বদরউদ্দিন আহমদ কামরান মারা যান। তিনি দীর্ঘদিন সিলেট সিটি করপোরেশনে আওয়ামী লীগের মেয়র পদে প্রার্থী ছিলেন। এবার নতুন প্রার্থী দিতেই হতো। তবে যে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীকে প্রার্থী করা হয়েছে, তা অনেকটা চমকই বটে। কারণ, তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগের কোনো পদে নেই। তিনি যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে ভোট করার আগ্রহ দেখিয়ে কয়েক মাস ধরে দৌড়ঝাঁপ করছিলেন। এই সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন পেতে ১০ জন ফরম সংগ্রহ করেছিলেন।
আনোয়ারুজ্জামান ছাড়া বাকি সবাই স্থানীয় আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ নেতা। আগে থেকেই স্থানীয় নেতারা বলে আসছেন, আনোয়ারুজ্জামানকে ছাড়া স্থানীয় যে কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হলে বাকিরা একযোগে কাজ করবেন। এ পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগের মধ্য থেকে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন কেউ কেউ।
সিলেট আওয়ামী লীগের দুজন নেতা, যাঁরা মনোনয়ন পেতে ফরম সংগ্রহ করেছিলেন, নাম প্রকাশ না করার শর্তে তাঁরা প্রথম আলোকে বলেন, চার-পাঁচজন বিদ্রোহী প্রার্থী হতে আগ্রহী। তবে শেষ পর্যন্ত সাহস করবেন কি না, বোঝা যাচ্ছে না। বিএনপির আরিফুল হক চৌধুরী দাঁড়ালে আওয়ামী লীগের নেতারা খুশি হবেন বলে জানান তাঁরা।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় একজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, সিলেট সদর আসনের সংসদ সদস্য বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে এম আবুল মোমেন প্রবাসী ছিলেন। বরাবরই সেখানে প্রবাসীদের প্রভাব থাকে। মেয়র পদে এবার সিলেটে স্থানীয় যাঁরা প্রার্থী ছিলেন, কারও বিরুদ্ধেই বড় কোনো বদনাম ছিল না। কিন্তু শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে আনোয়ারের যোগাযোগ ভালো। স্থানীয় প্রার্থীদের মধ্যে আলোচিত কেউ নেই। এই সুযোগে ভাগ্য খুলেছে আনোয়ারুজ্জামানের।