সাইবার নিরাপত্তা আইন আরও বিপজ্জনক হবে: রিজভী

ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ৭ আগস্ট
ছবি: সংগৃহীত

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের চেয়ে সাইবার নিরাপত্তা আইন আরও ভয়াবহ ও বিপজ্জনক হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রহুল কবির রিজভী। আজ সোমবার বিকেলে ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

সরকার বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করে নতুন আইন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আজ মন্ত্রিসভার বৈঠকে আইনটি বাতিলের নীতিগত অনুমোদন হয়। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বদলে সরকার এখন ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩’ করবে বলে মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী সরকার রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকলে তাদের হাত দিয়ে ভালো কিছু হবে বলে আমি মনে করি না। দেশি-বিদেশি চাপে তারা আইওয়াশ হিসেবে এটি করেছে।’

আজকের এ সংবাদ সম্মেলনটি করা হয় সারা দেশে বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার, মামলা ও নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরতে। সেখানে রিজভী বলেন, গত ২৮ জুলাই ঢাকায় মহাসমাবেশ এবং ২৯ জুলাই অবস্থান কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন স্থানে হামলায় ৮২০ জন আহত হয়েছেন। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৫০০ জনকে।

আরও পড়ুন

বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অভিযোগ করে বলেন, ২৮ ও ২৯ জুলাইয়ের আগে ও পরে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর পুলিশ ও গোয়েন্দা বাহিনীর সদস্যদের জুলুম-নির্যাতনের নানামুখী তৎপরতা চলছে। গ্রেপ্তার, গুম কোনোভাবেই থামছে না। গভীর রাতে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গোয়েন্দা পুলিশের হানা দেওয়ার ঘটনায় নতুন মাত্রা যোগ হচ্ছে। নেতা-কর্মীদের না পেলে পরিবারের সদস্যদের তুলে নেওয়া হচ্ছে। র‌্যাবের মতো গোয়েন্দা পুলিশও এখন মূর্তিমান আতঙ্কে পরিণত হয়েছে। এদের নেতৃত্ব দিচ্ছে আওয়ামী লীগের দলীয় অনুগত উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা।

বিএনপির এই নেতা বলেন, বর্তমানে দেশে মতপ্রকাশের ওপর বিধিনিষেধ রয়েছে। ব্যক্তি স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করতে গেলে তার ঠাঁই হয় কারাগারে বা আয়নাঘরে। এখন রাজনৈতিক দলের সমাবেশের অধিকার পুলিশের ইচ্ছা–অনিচ্ছার ওপর। ভোটাররা সুষ্ঠু নির্বাচনে নিজের পছন্দের দলকে ক্ষমতায় আনার অধিকার হারিয়েছেন। প্রতিনিয়ত সত্যকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করার জন্য একটি তাঁবেদার তথ্যব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতায় গণমাধ্যমের কিছু অংশকে অপপ্রচার আর কুৎসা ছড়ানোর জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির প্রমুখ।