খেলাফতের অনুরোধে নিজেদের কাউন্সিল পেছাল এবি পার্টি
খেলাফত মজলিসের অনুরোধে নিজেদের কেন্দ্রীয় কাউন্সিল পিছিয়েছে এবি পার্টি। আগামী ১০ ও ১১ জানুয়ারি দলটির প্রথম কেন্দ্রীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। আজ রোববার দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
পূর্বঘোষণা অনুযায়ী, ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এবি পার্টির কেন্দ্রীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে খেলাফত মজলিসও ২৮ ডিসেম্বর তৃণমূল সংগঠকদের সম্মেলনের জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জায়গা বরাদ্দ চেয়ে গণপূর্ত অধিদপ্তরের কাছে আবেদন করে। গণপূর্ত অধিদপ্তর দুই দলকেই পরিস্থিতি বিবেচনা করে মাঠ বরাদ্দ দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে চিঠি দেয়।
এবি পার্টি জানায়, সর্বশেষ গণপূর্ত অধিদপ্তর ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর এবি পার্টিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বরাদ্দ করে চূড়ান্ত চিঠি দেয়। কিন্তু খেলাফত মজলিস প্রচার–প্রচারণা, মেহমান দাওয়াত সম্পন্ন করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রবেশমুখে নিজেদের দলীয় সম্মেলনের গেট নির্মাণ করে। এতে উভয় দলের সম্মেলনের স্থান নিয়ে একধরনের জটিলতা তৈরি হয়। এমন পরিস্থিতিতে আজ বিকেলে সংবাদ সম্মেলন ডাকে এবি পার্টি।
এবি পার্টির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সংবাদ সম্মেলনের আগে আজ সকাল ১১টায় খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নেতারা এবি পার্টি কার্যালয়ে আসেন। খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদেরের নেতৃত্বে একটি দল এবি পার্টির নেতাদের সঙ্গে সংলাপ করেন। সংলাপে মধ্যস্থতা করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন। ৪ ঘণ্টা সংলাপের পর দুই দল জাতীয় ঐক্যের বৃহত্তর স্বার্থে স্থান বিষয়ে জটিলতা নিরসনে একমত হন।
এবি পার্টি জানায়, এ সময় খেলাফত মজলিসের নেতারা এবি পার্টির নেতাদের বিশেষভাবে অনুরোধ করেন বৈধভাবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ব্যবহারের চূড়ান্ত অনুমেদন পাওয়া সত্ত্বেও তাঁরা যেন ত্যাগ স্বীকার করে মাঠটি তাঁদের অনুকূলে ব্যবহারের জন্য ছাড় দেন। খেলাফতের নেতাদের অনুরোধে এবি পার্টি বৃহত্তর ঐক্য ও সংহতি রক্ষায় তাতে একমত হয়। পরবর্তী সময়ে দুই দলের কেন্দ্রীয় নেতারা যৌথভাবে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন।
সংবাদ সম্মেলনে এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় খেলাফত মজলিসের নেতাদের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে এবি পার্টি তাদের কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের তারিখ পরিবর্তন করে আগামী ১০ ও ১১ জানুয়ারি অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
গণপূর্ত অধিদপ্তরের সমালোচনা করে মজিবুর রহমান বলেন, একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান কতটা দায়িত্বহীন হলে একদল আবেদন করার পরও আরেক দলের আবেদন তারা কীভাবে গ্রহণ করে।
খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমেদ আবদুল কাদের বলেন, ‘আমাদের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে এবি পার্টি তাদের কাউন্সিলের তারিখ পিছিয়ে আগামী ১১ জানুয়ারি করেছে। আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।’
সংবাদ সম্মেলনে এবি পার্টির আহ্বায়ক আবদুল ওহাব মিনার, যুগ্ম আহ্বায়ক বি এম নাজমুল হক ও যুগ্ম আহ্বায়ক হেলাল উদ্দিন, ইসলামি আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন, খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব জাহাঙ্গীর আলম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মিনহাজুল আলম, এবি পার্টির যুগ্ম সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট আবদুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।