নাইটিঙ্গেল মোড়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের স্লোগান, আটক ৩

নাইটিঙ্গেল মোড় থেকে ফকিরাপুলের দিকে যাওয়া-আসার রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ
ছবি: দীপু মালাকার

রাজধানীর কাকরাইলের নাইটিঙ্গেল মোড় থেকে বিএনপির তিন কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢুকতে না পেরে নাইটিঙ্গেল মোড়ে বিএনপির কিছুসংখ্যক নেতা-কর্মী জড়ো হয়ে স্লোগান দিতে শুরু করেন। পরে পুলিশ তাঁদের সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। এ সময় ওই তিনজনকে আটক করে পাশের পুলিশ বক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।

সকাল থেকেই বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ভেতরে কাউকে ঢুকতে দিচ্ছে না পুলিশ। কার্যালয়ের আশপাশের এলাকায় যাঁরা বিভিন্ন প্রয়োজনে যাচ্ছেন, তাঁরা পরিচয়পত্র দেখিয়ে ঢুকতে পারছেন। পুলিশের বাধার কারণে বিএনপির কার্যালয়ে যেতে পারেননি দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। নাইটিঙ্গেল মোড় থেকেই ফিরে গেছেন তিনি।

আরও পড়ুন

পুলিশের যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, ‘গতকাল বুধবারের অভিযানে বিএনপির কার্যালয় থেকে বিপুল বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। নিরাপত্তার কারণে আমরা কাউকে কার্যালয়ে ঢুকতে দিচ্ছি না। পুরো কার্যালয়ে পুলিশের ক্রাইম সিন ইউনিট আছে। তারা জায়গাটি ঘিরে রেখেছে। নিরাপদ ঘোষণা করলে কার্যালয়ে ঢোকার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে।’

এদিকে সকাল থেকেই বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ের ফটকে তালা ঝুলছে। সকালে কোনো নেতা-কর্মীকে কার্যালয়ে ঢুকতে দেখা যায়নি। কার্যালয়ের মূল ফটকের বাইরে পাহারায় রয়েছে পুলিশ। নয়াপল্টন এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। প্রতিটি গলির মুখে পুলিশ অবস্থান নিয়েছে।

আরও পড়ুন

গতকাল পুলিশ ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের পর কাকরাইলের নাইটিঙ্গেল মোড় থেকে ফকিরাপুলের দিকে যাওয়া-আসার রাস্তা বন্ধ রয়েছে। তবে পরিচয়পত্র দেখিয়ে হেঁটে চলাচল করতে পারছেন পথচারীরা।

বিএনপির কার্যালয়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা একজন প্রথম আলোকে বলেন, রাতে পুলিশের অভিযান শেষে কার্যালয়ের ফটকে তালা দেওয়া হয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

আবদুল্লাহপুরে যাত্রী নামিয়ে বাসে বাসে পুলিশের তল্লাশি, হয়রানির অভিযোগ

নয়াপল্টন ‘ক্রাইম জোন’ চিহ্নিত, সাংবাদিকদেরও যেতে দিচ্ছে না পুলিশ

‘জামায়াতমুক্ত’ করার রাজনৈতিক প্রকল্প যে পরিণতি পেল

‘ক্ষমতায় টিকে থাকতে সব সাংবিধানিক অধিকার ক্ষুণ্ন করছে সরকার’

গতকাল নয়াপল্টনে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে একজন নিহত হন। নিহত ব্যক্তির নাম মকবুল আহমেদ বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। পরে বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতাসহ ৩০০ জনকে আটক করা হয় বলে বিএনপির পক্ষে থেকে জানানো হয়েছে।