রঙিন টুপি, টি-শার্ট পরে আওয়ামী লীগের সমাবেশে যাচ্ছেন নেতা-কর্মীরা
রাজধানীর কাওলা এলাকায় আওয়ামী লীগের সমাবেশে যোগ দিতে দলে দলে যাচ্ছেন নেতা-কর্মীরা। রঙিন টুপি, টি-শার্ট পরে সিভিল অ্যাভিয়েশন মাঠে যাচ্ছেন তাঁরা। অনেকেই ইতিমধ্যে মাঠে পৌঁছেছেন। সমাবেশে বক্তব্য দেবেন দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইতিমধ্যে তিনি সমাবেশস্থলে পৌঁছেছেন।
গত শনিবার বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের উদ্বোধনের দিন এই সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে তা স্থগিত করা হয়। আজ শনিবার আবার সেই সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে দলের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে যেন উৎসবের আমেজ বইছে। আজ বেলা আড়াইটার দিকে কাওলা এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সমাবেশের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সমাবেশে অংশ নিতে বর্ণিল সাজে রঙিন পোশাক পরে দলে দলে মিছিল নিয়ে জনসভার মাঠে জড়ো হচ্ছেন নেতা-কর্মীরা। কর্মী সমর্থকেরা হাতে প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার নিয়ে আওয়ামী লীগের উন্নয়নকাজ নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভয় দিয়ে এবং বিএনপি-জামাতকে হুঁশিয়ার করেও স্লোগান দিচ্ছেন তাঁরা।
নেতা-কর্মীদের ভিড়ে ও তাদের আনা বাস, ট্রাক ও পিকআপ সড়কে রাখার কারণে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে যানজট সৃষ্টি হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে সমাবেশে অংশ নিতে ফার্মগেট, মহাখালীর দিক থেকে আসা যানবাহনগুলোকে নিকুঞ্জ অংশে কুড়িল উড়ালসড়ক দিয়ে ৩০০ ফুট সড়ক হয়ে খিলক্ষেতের দিকে পাঠানো হচ্ছে। আবার কিছু যানবাহন বিমানবন্দর অংশে সড়কের পাশে এক সারিতে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া টঙ্গী, গাজীপুর, নরসিংদী এসব এলাকা থেকে বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী ট্রেনে করে জনসভায় যোগ দিতে আসছেন। বিমানবন্দর রেলস্টেশনে নেমে মিছিল করতে করতে তারা কাওলার জনসভাস্থলের দিকে যাচ্ছেন।
অন্যদিকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিভিন্ন আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতারা তাদের কর্মীদের নিয়ে সমাবেশে যাচ্ছেন। একেক নেতার কর্মীদের গায়ে একের রঙের টি-শার্ট। কারও গায়ে সবুজ, কারও গায়ে কমলা ও কারও গায়ে হলুদ রঙের টি-শার্ট দেখা যায়।
সমাবেশে যোগ দেওয়া উত্তরা ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের নেতা মাহমুদুর রহমানের সঙ্গে কথা হয় প্রথম আলোর। তিনি বলেন, বিএনপি যতই ষড়যন্ত্র, নাশকতা করুক না কেন কোনো লাভ হবে না। দেশের মানুষ শেখ হাসিনাকেই, নৌকাকেই ভোট দেবে। এর কারণ শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ সরকার দেশের অনেক উন্নয়ন করেছেন। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগের সরকারই দরকার।