বেনজীর ও আজিজদের বিচারের মুখোমুখি করছে আওয়ামী লীগ: ওবায়দুল কাদের
বেনজীর ও আজিজদের বিচারের মুখোমুখি করছে আওয়ামী লীগ, এসব কথা জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বেনজীর আহমেদ ও আজিজ আহমেদের অপরাধ ব্যক্তিগত। সে অপরাধের জন্য তাঁদের শাস্তি পেতেই হবে।
আজ বুধবার বিকেলে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
‘বেনজীর ও আজিজ আওয়ামী লীগের সৃষ্টি’ বলে বিএনপি নেতারা যে বক্তব্য দিয়েছেন, এর জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পাল্টা প্রশ্ন রেখে বলেন, আশরাফুল হুদা (পুলিশের সাবেক আইজি) ও সাবেক দুজন পুলিশ কর্মকর্তা রকিবুল হুদা ও কোহিনূর—তাঁরা কাদের সৃষ্টি? দুর্নীতি, লুটপাটের ভবন ‘হাওয়া ভবন’ কাদের সৃষ্টি? তাঁদের বিচার কি বিএনপি করেছে? শেখ হাসিনার সৎ সাহস আছে। সে কারণে দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাঁর জিরো টলারেন্স। আজ প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্বপূর্ণ দুজনের নিয়োগ বাতিল হয়েছে। তাদের নিশ্চয়ই কর্তব্যে কোনো বিচ্যুতি ঘটেছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বেনজীরের যে ক্যারিয়ার ও পারসোনালিটি, তাতে তাঁকে তো বাইরে থেকে কেউ এমনটি ভাবেননি, এখন যা জানছেন। আপনারা (সাংবাদিকরা) ভাবেননি, কেউ ভাবেনি। আজিজ আহমেদ অত্যন্ত বিচক্ষণ ছিলেন, তাঁর এমন ডিগ্রি আছে, যা অনেক অফিসারের ছিল না।’ তিনি আরও বলেন, ‘আজিজ আহমেদকে তাঁর যোগ্যতার জন্য সেনাপ্রধান করা হয়েছিল। কিন্তু দুর্নীতি করলে তো তাঁকে শাস্তি পেতেই হবে।’
‘উৎসবমুখর নির্বাচন’
উপজেলা নির্বাচনের তৃতীয় ধাপও শান্তিপূর্ণ, উৎসবমুখর ও অংশগ্রহণমূলক হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ছোটখাটো ঘটনা ঘটলেও এ নির্বাচনে কোনো প্রাণহানি হয়নি। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে কিছু কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দেশে দুর্যোগের পরেও ভোটারের উপস্থিতি ছিল সন্তোষজনক। অবাধ ও সুষ্ঠু পরিবেশে ভোটাররা নির্বিঘ্নে তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ভোটারের উপস্থিতি ৩৫ শতাংশের কিছু বেশি। পরে চূড়ান্ত পরিসংখ্যান জানা যাবে। এই নির্বাচনে দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ব্যতীত উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি। মোটামুটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশনসহ নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত সবাইকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা তো ভেবেছিলাম, ভোটারের উপস্থিতি কম হবে। প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ে অনেক জায়গায় রাস্তাঘাট নষ্ট হয়ে গেছে। অনেক জায়গায় কিছু কিছু ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। যদিও ধান কাটা অনেক আগেই শেষ হয়েছে। এর মধ্যে ভোটারের উপস্থিতি ৩৫ শতাংশ বা তার বেশি মোটামুটি সন্তোষজনক।’
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন ও মির্জা আজম, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।