রৌমারীতে কৃষক সমাবেশে হামলার নিন্দা গণতন্ত্র মঞ্চের

গণতন্ত্র মঞ্চছবি:সংগৃহীত

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের কৃষক সমাবেশে হামলার নিন্দা জানিয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চ। জামায়াতে ইসলামীর মদদে এ হামলা হয়েছে অভিযোগ করে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে তারা। আজ রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো গণতন্ত্র মঞ্চের এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘২৯ নভেম্বর রৌমারীতে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের কৃষক সমাবেশে জামায়াতে ইসলামীর স্থানীয় নেতারা পুলিশের উপস্থিতিতে যে হামলা চালান, আমরা তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের মতো এই অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেও গণ-অভ্যুত্থানের বীর শহীদ আবু সাঈদের হত্যা মামলার আইনজীবী রায়হান কবীরসহ অন্য নেতাদের ওপর এই হামলা অত্যন্ত ঘৃণ্য অপরাধ।’

এই হামলার ঘটনাকে ‘গণ-অভ্যুত্থানের স্পিরিটের (চেতনা) পরিপন্থী’ আখ্যা দিয়ে অবিলম্বে এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি এবং ‘নিষ্ক্রিয় থেকে হামলা সংঘটিত করতে সহযোগিতা করা’ পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে বিবৃতিতে। পাশাপাশি প্রশাসনের মধ্যে ‘ঘাপটি মেরে থাকা স্বৈরাচারের দোসরদের’ চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে তারা।

গণতন্ত্র মঞ্চের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারদের পতনের পর নতুন করে বাংলাদেশ বিনির্মাণে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা যেখানে অত্যন্ত জরুরি, ঠিক সেই সময়ে প্রশাসনের উপস্থিতিতে দলীয় কর্মসূচিতে হামলা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় জাতীয় ঐক্য বিনষ্ট করার মতো ঘৃণ্য কাজ।’

উল্লেখ্য, ৩০ নভেম্বর রৌমারী উপজেলা জামায়াতে ইসলামী এক বিবৃতিতে দাবি করেছে, ওই হামলার সঙ্গে তাদের এবং ছাত্রশিবিরের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।

আজ গণমাধ্যমে গণতন্ত্র মঞ্চের যৌথ বিবৃতিটি দিয়েছেন মঞ্চের কেন্দ্রীয় নেতা আ স ম আবদুর রব (জেএসডির সভাপতি), মাহমুদুর রহমান (নাগরিক ঐক্যের সভাপতি), সাইফুল হক (বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক), জোনায়েদ সাকি (গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী), শেখ রফিকুল ইসলাম (ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক) ও হাসনাত কাইয়ুম (রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক)।